বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির কারণে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটক ভেঙে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে। এ সময় তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে ভাঙচুর চালায় এবং চারদিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর কিছুক্ষণ পরেই সাময়িকভাবে এই দুই আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকার সিএমএম আদালতের নাজির রেজোয়ান খন্দকার বলেন, সিএমএম আদালতের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কখন কার্যক্রম শুরু হবে, এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল বলেন, আদালতে হামলার পর বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, যেসব আসামি আসেনি, ওই সব মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ও জামিন শুনানি বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু মামলার শুনানি এখনও চলছে। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির খাদেমুল ইসলাম বলেন, যেসব মামলায় আসামি ও সাক্ষী আসেনি, সেগুলোর মামলার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু মামলার শুনানি চলছে। এদিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ওসি সাদিক ও ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার ওসি মুরাদ হোসেন জানান, গতকাল কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে আসামিবাহী কোনো প্রিজন ভ্যান আসেনি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকেও কোনো হাজতি আসামি আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তার স্বার্থে কারা কর্তৃপক্ষ আসামিদের হাজির করেনি।
https://www.kaabait.com