বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫০ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

প্রার্থনা ও আনন্দে উদযাপিত বড়দিন, সারাদেশে ছড়িয়ে শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা

প্রতিনিধি: / ০ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

পৃথিবী থেকে অশান্তি দূর করে শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় দেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিন উদযাপন করেছে। রাজধানীর বিভিন্ন গির্জা ও খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকায় প্রার্থনা, কেক কাটা, সান্তাক্লজের উপহার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন পালন করা হয়।

রাজধানীর কাকরাইলের সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রালে নানা বয়সী মানুষ সকাল থেকেই প্রার্থনায় অংশ নেন। ফাদার আলবার্ট রোজারিও বলেন, “জীবন যেন প্রেমময় হয় এবং ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়। আমরা বিশ্বজুড়ে শান্তি ফেরানোর আহ্বান জানাই।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এবারের বড়দিন আরও বিশেষ, কারণ এটি জুবলী বর্ষে যিশুর ২০২৫তম জন্মজয়ন্তী।” ফাদার কিউবার বলেন, “সব ধর্মেই ভালো-মন্দ মানুষ আছে, তবে আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত শান্তি, সত্য ও মানবসেবার পথে চলা। বড়দিন সার্বজনীন ঐক্য ও শান্তির বার্তা দেয়।”

দেশের বিভিন্ন জেলায়ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করেছেন। কুড়িগ্রামে বিশেষ প্রার্থনা, সঙ্গীত ও কেক কাটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়। রাঙ্গামাটিতে নির্মলা মারিয়া গির্জা, বন্ধু যিশু টিলা ও ব্যাপিস্ট চার্চে সকাল থেকে প্রার্থনা হয়, শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ফাদার মাইকেল রয় বলেন, “বড়দিন মানেই শান্তি, ভালোবাসা আর মানবতার বার্তা। সবাই মিলে এই আনন্দ উপভোগ করুক।”

মৌলভীবাজারে খ্রিষ্টান মিশন ও গির্জাগুলোতে প্রার্থনা, ধর্মীয় সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন উৎসবকে রঙিন করেছে। ময়মনসিংহের ভাটিকাশর গির্জায় সকাল ৯টায় সমবেত প্রার্থনা হয়। হিলির জামতলি মিশনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলেছে, যেখানে শিশু-কিশোরদের কোরাস গান ও নাট্য পরিবেশন আনন্দের মাত্রা বাড়িয়েছে। বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় সকাল থেকেই গির্জাগুলো ভিড় হয়, আলোকসজ্জা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন উৎসবকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে।

মুন্সিগঞ্জের শুলপুরের ৩শ বছরের পুরোনো ‘সাধু যোসেফ গির্জা’তে শত শত খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী অংশ নেন প্রার্থনায়। ফাদার কমল কোড়াইয়া বলেন, “এবারের বড়দিনে বিশ্ব মানবতার জন্য এবং বাংলাদেশের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে। বিশেষ করে দেশের সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ কামনা করা হয়েছে।”

সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশ, প্রার্থনা ও আনন্দ ভাগাভাগি করার মাধ্যমে খ্রিস্টান সম্প্রদায় বড়দিন উদযাপন করেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনও সর্বোচ্চ সজাগতা বজায় রেখেছে।


এই বিভাগের আরো খবর