স্পোর্টস: ইনিংসের ১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে মাহমুদ উল্লাহ যখন আউট হন, তখনো হাতে পাঁচ উইকেট বাংলাদেশের। সিরিজে ফিরতে প্রয়োজন ছিল ৩৯ রান। ম্যাচের এমন সমীকরণে তুলনামূলক খর্বশক্তির যুক্তরাষ্ট্রের বোলিং বিভাগের বিপক্ষে কে ভেবেছিল, এই ম্যাচ হারতে পারে বাংলাদেশ! ১০৬ রানে ৪ উইকেট থেকে ১৩৮ রানে অলআউট। অর্থাৎ ৩২ রানে নেই ৬ উইকেট। ১৪৫ রান তাড়ায় নামা বাংলাদেশ দল হারে ৬ রানে। সঙ্গে সিরিজ হারও নিশ্চিত হয়। র্যাংকিয়ে ৯ ধাপ পিছিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথমবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুখোমুখি হয়ে টানা দুই ম্যাচে হার। এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হাতছাড়া। যেখানে চরম ব্যর্থ দলের ব্যাটিং বিভাগ। কেন এমন হচ্ছে? উত্তর জানা নেই দলের সব থেকে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের, ‘আমি বলতে পারব না। এটার উত্তর আমার কাছে নাই।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এটা তো আমি জানি না। আমি জানলে তো টিমকে বলতাম টিম ভালো ফলাফল করত।’ তবে এই হার যে হতাশার সেটি স্বীকার করেছেন সাকিব, ‘হারাটা অবশ্যই হতাশার। যেকোনো ম্যাচ হারাটা হতাশাজনক। কেউই আশা করেনি দুইটা ম্যাচ আমরা হেরে যাব, অবশ্যই হতাশাজনক আমাদের জন্য। কৃতিত্ব ইউএসএ দলকে দিতে হবে, তারা যেভাবে খেলেছে।’ যুক্তরাষ্ট্রকে সাকিবরা হালকাভাবে নিয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে বললেন, ‘আপনি তা বলতে পারেন। তবে আমার মনে হয় না। প্রথম ম্যাচে হয়ত আমরা যা চেয়েছি তা করতে পারিনি। পরের ম্যাচেও তা হল। আমরা আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারিনি।’ আগের ম্যাচে ব্যর্থ সাকিব এ ম্যাচে ৩০ রান করেই নিজেদের ইনিংসের সর্বোচ্চ রানের মালিক। ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারছেন না অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। বিশ্বকাপের আগে ধারাবাহিকতা নেই সৌম্য সরকার, মাহমুদ উল্লাহদের ব্যাটে। বিশ্বকাপে এর প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে সাকিবের উত্তর, ‘অবশ্যই পড়তে পারে আবার না-ও পড়তে পারে।’
https://www.kaabait.com