বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৮ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

নামাজে সানা না পড়লে কি শুদ্ধ হবে?

প্রতিনিধি: / ৮৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ। এর প্রতিটি পর্যায় গভীর অর্থ ও তাৎপর্যপূর্ণ। এর শুরুতেই একটি দোয়া গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা মুমিনের আত্মিক সংযোগকে আল্লাহর সঙ্গে সুদৃঢ় করে। এ দোয়াটি পবিত্রতা, প্রশংসা, এবং আল্লাহর মহিমা বর্ণনায় পূর্ণ। অনেকে জানতে চান, নামাজে সানা না পড়লে কি শুদ্ধ হবে?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, নামাজে তাকবিরে তাহরিমার পর অনুচ্চস্বরে সানা পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এটি ফরজ বা ওয়জিব নয়। তাই ইচ্ছাকৃত বা ভুল করে সানা না পড়লে নামাজ নষ্ট হবে না বা সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। তবে সাধারণ অবস্থায় কোনো কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃত এই সুন্নত ছেড়ে দেওয়া ঠিক নয়।
একা নামাজ আদায়কারী, ইমাম ও মুক্তাদি সবার জন্যই নামাজের শুরুতে সানা পড়া সুন্নত। কিন্তু মুক্তাদি যদি ইমাম সানা পড়ে ফেলার পর নামাজে শরিক হন এবং ইমাম উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়তে থাকেন, তাহলে মুক্তাদি সানা না পড়ে ইমামের তিলাওয়াত শুনবেন। ইমাম নিম্নস্বরে কেরাত পড়তে থাকলে মুক্তাদি নামাজে শরিক হয়ে সানা পড়তে পারেন। কারণ ইমাম যখন কোরআন তিলাওয়াত করেন, তখন ইমামের তিলাওয়াত শোনা মুক্তাদিদের ওপর ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, যখন কোরআন পড়া হয়, তখন চুপ থেকে মনোযোগ দিয়ে শোনো, হয়তো তোমাদের দয়া করা হবে। (সুরা আরাফ: ২০৪)
ইমাম রুকুতে চলে যাওয়ার পর কেউ জামাতে শরিক হলেও সানা না পড়ে ইমামকে অনুসরণ করে রুকুতে চলে যেতে হবে। অনেকে এ সময় সানা পড়তে গিয়ে ওই রাকাতই ছেড়ে দেয়, এটা ঠিক নয়।
ইমাম রুকুতে যাওয়ার পর জামাতে শরিক হলে মুক্তাদি দাঁড়ানো অবস্থায় তাকবিরে তাহরিমা বলবেন। তারপর হাত না বেঁধে আবার তাকবির বলে রুকুতে চলে যাবেন। রুকুর জন্য আলাদা তাকবির না বললেও সমস্যা নেই। সাহাবিদের থেকে এ রকম ক্ষেত্রে রুকুর তাকবির বলা ও না বলা উভয় রকম আমলই বর্ণিত রয়েছে।
পুরো নামাজে একবারই সানা পড়তে হয়, একাধিকবার পড়ার নিয়ম নেই। কেউ নামাজে মাসুবক হলে এবং সানা পড়ার সুযোগ না পেলে ইমামের সঙ্গে নামাজ শেষে যখন ছুটে যাওয়া নামাজের জন্য দাঁড়াবেন তখন সানা পড়ে নেবেন।


এই বিভাগের আরো খবর