রোমেন রায়হান
সারাজীবন ঠান্ডা কাশি, দু-তিনদিনের জ্বরে
অ্যান্টিবায়োটিক এসেছে মুড়ির মতন ঘরে!
ডাক্তারেরা লিখতে হবে? ওষুধ দোকানদারে
রোগের কথা শুনেই যখন ওষুধ দিতে পারে!
অ্যান্টিবায়োটিক কী এমন! বুড়ো-জোয়ান-ছেলে
সবাই জানে কোনটা খাব, হাত বাড়ালেই মেলে!
কখন খাব! ভরা পেটে? নাকি খালি পেটে?
দোকানদারে বলার আগেই বাসায় ফিরি হেঁটে!
কিসের আবার ডোজের হিসাব! যায়-আসে কী ডোজে?
শরীর ভালো লাগার পরে ওষুধ কি কেউ খোঁজে?
ডোজের হিসাব কেউ রাখে না আমার ডানে বামে
আমিও তাই, ইচ্ছামতন ওষুধ খাওয়া থামে!
: এখন দেখ! সারছে না জ্বর অ্যান্টিবায়োটিকে!
লাভ কী হলো স্কুল-কলেজে বইয়ের পড়া শিখে?
অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছ খুব তো নিজে নিজে!
রিপোর্ট দেখে বুঝছ কিছু? উপায় হবে কী যে!
সবই রেজিস্ট্যান্স হয়েছে একটাও নেই বাকি
মরবে না আর ব্যাকটেরিয়া, রোগ সারবে নাকি?
মরব মানুষ, ব্যাকটেরিয়া থাকবে সুখে বেঁচে!
খাও আরো খাও ইচ্ছামতন! দৌড়ে নেচে নেচে!