বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

সিইসির ভাষণ প্রচার হবে ৬টায়, আজই জানানো হবে নির্বাচনসূচি

প্রতিনিধি: / ০ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই তফসিল ঘোষণা করবেন, এমনটাই নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্র জানিয়েছে, সম্ভাব্য ভোটগ্রহণের তারিখ হিসেবে ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে সিইসির ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের জন্য রেকর্ড করা হয়। ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, রেকর্ডিংয়ের সময় বিশেষ গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছে যাতে তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত কোনো তথ্য ফাঁস না হয়। তিনি বলেন, “সন্ধ্যা ৬টায় ভাষণটি প্রচার করা হবে, সেখানেই সব আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”

ইসির ওপর নজর ছিল রাষ্ট্রপতিরও। বুধবার দুপুরে সিইসি নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। তাঁরা ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার বা ওসিভি, এবং দেশের ভেতরে ডাকযোগে ভোট বা আইসিপিভির প্রস্তুতি নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একযোগে অনুষ্ঠিত হওয়ায় দুটি আলাদা ব্যালট পেপার ব্যবহারের পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়।

ইসির এই প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি। আখতার আহমেদ বলেন, “রাষ্ট্রপতি সার্বিক প্রস্তুতি ও সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছেন।” উল্লেখ্য, এবার ভোট গ্রহণ সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে। সারাদেশে ৩০০ আসনের জন্য ৪২ হাজার ৭৬১টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ১২ কোটি ৭৬ লাখ ভোটার। সংসদের ব্যালট পেপার হবে সাদা আর গণভোটের জন্য গোলাপি।

অন্যদিকে, সংসদীয় আসনের সীমা নিয়ে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের আদেশে নির্বাচন কমিশনকে নতুন সমন্বয়ের কাজ করতে হচ্ছে। বাগেরহাটের আসনসংখ্যা ফের ৪টিতে উন্নীত করতে এবং গাজীপুরে ৫টি আসন বজায় রাখতে হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নতুন গেজেট প্রকাশ না করলে ৩০০ আসনের পূর্ণ তফসিল ঘোষণা করা যাবে না। যদিও ইসির সিনিয়র সচিব জানান, “এখনও আদালতের রায় হাতে না আসায় আপাতত ৩০০ আসনেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।” ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গেজেট দ্রুতই প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে।

তফসিল ঘোষণার পরই নির্বাচন আচরণবিধি পুরোপুরি কার্যকর হবে। পোস্টার-ব্যানার অপসারণ থেকে শুরু করে জনসমাবেশ নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত সবকিছুই পর্যবেক্ষণে রাখবে মাঠ প্রশাসন। প্রতিটি উপজেলা ও থানায় দুজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন, আর শেষ পাঁচ দিনে বাড়ানো হবে ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা। তফসিলের পর কোনো নতুন প্রকল্প অনুমোদন করবে না উপদেষ্টা পরিষদ, আর আরপিও অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের বদলিতে আসবে নিষেধাজ্ঞা।

অন্তর্বর্তী সরকার সবাইকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে আন্দোলনমুক্ত পরিবেশে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ডিএমপি জানিয়েছে, অনুমোদনহীন জনসমাবেশ বা বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশজুড়ে এখন সব নজর থেমে আছে সন্ধ্যার দিকে, নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই বলে দেবে ১২ ফেব্রুয়ারির লড়াই কীভাবে সামনে এগোবে।


এই বিভাগের আরো খবর