সরেজমিনে অনুসন্ধ্যানে জানাগেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মো. রেজোয়ান হোসেন মাতুব্বর ১৯৮৯ সালে প্রথমে এমএলএস পদে হাসপাতালে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি পদন্নতি পেয়ে ২০১৮ সাল থেকে প্রধান অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক পদে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন।
এ উপজেলায় তার নিজ জন্মস্থান উপজেলার হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের গুয়াবাড়িয়া গ্রামে। পিতার পৈত্রিক ১০-১২ কাটার বসতবাড়ি ও ১ বিঘা বিলান জমি রয়েছে। বিগত ৩/৪ বছরের ব্যবধানে তিনি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন । পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে ১নং ওয়ার্ডে নতুন থানা রোড়ে ৪ কাটা জমি ক্রয় করে ১ তলা ভবনে বসতবাড়ি তুলে ভাড়া দিচ্ছেন, ৭ নং ওয়ার্ডে ভূইমালি ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় স্ত্রী কহিনুর বেগমের নামে সদ্য ক্রয় করেছে বসতবাড়ি, ৮ নং ওয়ার্ড শুভরাজকাঠি এলাকায় ২০২৪ সালে ১ বিঘা জমি ক্রয় করে ছোট মেয়ে মুনমুনের নামে তৈরি করে দিয়েছেন পাকা বসতবাড়ি, একই স্থানে খালের অপর প্রান্তে নতুন করে ছেলে নাইম মাতুব্বরের নামে তৈরি করেছেন আলিশান বাড়ি পাকা ইমারত, তার পৈত্রিক বাড়িটিতে এখনও কাঠের ঘর রয়েছে। সেখানে তিনি বসবাস করেন। এ হিসাব রক্ষকের মাসিক বেতন স্কেল ২৩ হাজার ৫শ’ টাকা অথচ তিনি চাকুরির সুবাধে অল্প সময়ে কিভাবে এতো সম্পাদের মালিক হলেন এ নিয়ে গুঞ্জন চলছে এলাকায়।
অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালের অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা কর্মচারীদের পেনশন যাওয়া কাগজপত্র ঠিক করে দিতে চুক্তিভিত্তিক তাকে দিতে হয় মোটা অংকের টাকা। টাকা দিয়েও বছরের পর বছর ঘুরে পেনশনের টাকা উত্তোলনে করতে হয় ভূক্তভোগীদের। সুচতুর এ অফিস সহকারী হাসপাতালের ব্যবহৃত পানির ট্যাংকি, টেবিল চেয়ার নিজ বাড়িতে ব্যবহার করছেন। বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় এমপি, সাবেক সচিব সহ রাজনৈতিক নেতাদের নিকটতম আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ফায়দা হাসিল করে প্রভাব খাটিয়েছেন হাসপাতাল ও গ্রামের এলাকায় এ রকম একাধিক অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
সদ্য নির্মিত তার পাকা ভবনের কাজে নিয়োজিত গুয়াবাড়িয়া গ্রামের রাজমিস্ত্রী শ্রমিক মোহাম্মদ আলী মোল্লা, জসিম উদ্দিন হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, গত ১ বছর পূর্বে তার বসতবাড়ির নির্মাণ কাজ করে ৫০ হাজার টাকা এখন পাওনা রয়েছে হাসপাতালের হেডকেলারর্ক রেজোয়ান মাতুব্বরের কাছে। তা দিচ্ছে না। হিসাব নিকাশ না করে তালবাহনা করছে। টাকা চাইতে গেলে তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা বলে হুমকি দেয়।
এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মো. রেজোয়ান হোসেন মাতুব্বর তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, শুভরাজকাঠী গ্রামের বাড়িটি তার জামাতা আবজাল হোসেনের। তার নামে একাধিক কোন বাড়ি নেই। রাজমিস্ত্রিীর কাজের কোন টাকা তার কাছে পাওনা নেই।
https://www.kaabait.com