সাড়ে তিন বছর বা ৪২ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর। আগামী ৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বুলাওয়েতে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত তিনি। ২০২২ সালে দুর্নীতির অভিযোগে টেইলরকে নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। এর আগে ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আকস্মিক অবসর নেন তিনি। তখনই আলোচনা শুরু হয়, হঠাৎ কেন অবসরে গেলেন এই ক্রিকেটার। কারণ অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসে চমকপ্রদ তথ্য। টেইলর স্বীকার করেন, তিনি স্পট ফিঙ্ংিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন এবং ১৫ হাজার ডলারের অবৈধ চুক্তিতে রাজিও হয়েছেন। সে সময় টেইলর দাবি করেন, তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বুলাওয়েতে শুরু হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এই ম্যাচে দলে নেই টেইলর। তবে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরবিন নিশ্চিত করেছেন, টেইলর দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারবেন। আরবিন বলেন, ‘সে অবশ্যই দ্বিতীয় টেস্টে উপলব্ধ থাকবে। আমি জানি সে কতটা কঠোর পরিশ্রম করেছে, বিশেষ করে গত আট-দশ-বারো মাসে। আমি দারুণ রোমাঞ্চিত তাকে আবার দলের সঙ্গে পেতে এবং সে দলের জন্য কী অবদান রাখতে পারে, সেটি দেখার অপেক্ষায় আছি।’ ৩৯ বছর বয়সী টেইলর নিষেধাজ্ঞার শর্ত অনুযায়ী জাতীয় বা ঘরোয়া দলের সঙ্গে ট্রেনিং করতে পারেননি। তবে হারারেতে একটি স্বতন্ত্র অভিজাত স্কুলের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে নিজের ফিটনেস ধরে রেখেছেন এবং ক্রিকেট-বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন, মাদক ও অ্যালকোহল আসক্তি থেকে পুনর্বাসনের পর আগের চেয়ে অনেক বেশি ফিট তিনি। এর আগে গেল মার্চে ক্রিকইনফোকে টেইলর বলেন, ‘আমি একাদশে হেঁটে ঢ়ুকে পড়বো, এমনটা ভাবছি না। আমি খেলতে চাই দায়িত্ব নিয়ে। কারণ আমি মনে করি আমার আগের আচরণ জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে হতাশ করেছে। আমি সত্যিই নিঃস্বার্থভাবে মূল্য যোগ করতে চাই।’ ব্রেন্ডন টেইলর এখন পর্যন্ত ৩৪টি টেস্ট খেলেছেন (২০০৪-২০২১)। ৬টি শতকের সঙ্গে লাল বলের ক্রিকেটে তার ব্যাটিং গড় ৩৬.২৫। এই সময়ে টেইলারের ফেরা জিম্বাবুয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। চলতি বছর তারা ৭টি টেস্ট খেলে মাত্র একটিতে জিতেছে। বছরের বাকি সময়ে আরও চারটি টেস্ট খেলবে তারা। ম্যাচগুলো নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে, সেপ্টেম্বরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগে ও পরে।