শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

মুক্তিপণ নেওয়ার পরও নাইজেরিয়ায় ৩৫ জিম্মিকে হত্যা করল অপহরণকারীরা

প্রতিনিধি: / ৩৪ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলের জামফারা রাজ্যের একটি গ্রাম থেকে অপহৃত অন্তত ৩৫ জনকে মুক্তিপণ নেওয়ার পরও নির্মমভাবে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। স্থানীয় এক কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি কয়েক বছরে নাইজেরিয়ার ওই অঞ্চলে অপরাধী চক্রগুলো অপহরণকে অর্থ উপার্জনের উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছে। এসব অপরাধী চক্র স্থানীয়ভাবে ‘দস্যু’ নামেই পরিচিত। নাইজেরিয়ার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত মার্চে জামফারার কাওরান নামোদা প্রশাসনিক এলাকার বাঙ্গা গ্রাম থেকে ৫৬ জনকে অপহরণ করে বন্দুকধারীরা। তারা মুক্তিপণ হিসেবে প্রতি জনের জন্য ১০ লাখ নাইরা (৬৫৫ মার্কিন ডলার) দাবি করে। স্থানীয় সরকারের চেয়ারম্যান মানিরু হাইদারা কাউরা বলেন, “যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই তরুণ। তাদেরকে ভেড়ার মতো জবাই করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “লম্বা সময় দরকষাকষির পর অপহরণকারীরা তাদের চাওয়া মতো মুক্তিপণের অর্থ পেয়েছিল। তারপর তারা শনিবার ১৮ জনকে ছেড়ে দেয়, যাদের মধ্যে ১৭ জন নারী এবং একজন কিশোর।” তবে “কেন তারা বাকিদের মেরে ফেলল, সেটা একমাত্র তারাই জানে। তারা নিষ্ঠুর ও বিবেকহীন। নিজেদের ভাইদেরই মেরে ফেলছে। ভুলে যাচ্ছে একদিন সবারই আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে।” বিবিসি জানায়, শনিবার ছাড়া পাওয়া ১৬ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর ৩৫ জন হত্যার শিকার হলেও তাদের মরদেহ আর ফেরত আসার সম্ভাবনা কম। নাইজেরিয়ায় এ ধরনের ঘটনায় সাধারণত মৃতদেহ ফেরত দেয় না দস্যুরা। নাইজেরিয়ায় অপহরণ ও মুক্তিপণের রাশ টেনে ধরতে ২০২২ সালে একটি আইন পাস করা হয়। এতে মুক্তিপণ দেওয়া অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং এর জন্য অন্তত ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়। তবে এ সংক্রান্ত অভিযোগে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই আইনে বলা আছে, অপহরণের শিকার কেউ মারা গেলে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড হবে। কিন্তু বাস্তবে অনেক পরিবারই বাধ্য হয়ে মুক্তিপণ দেয়। কারণ তারা মনে করেন, তাদের প্রিয়জনদের নিরাপত্তা সরকার নিশ্চিত করতে পারছে না।


এই বিভাগের আরো খবর