সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়নি, হাদির ঘটনা বিচ্ছিন্ন: সিইসি

প্রতিনিধি: / ০ দেখেছেন:
পাবলিশ: সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। তাঁর ভাষায়, দেশে সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়নি, মাঝেমধ্যে ঘটে যাওয়া কিছু সহিংস ঘটনা বিচ্ছিন্ন এবং নির্বাচন এলেই এ ধরনের ঘটনা অতীতেও দেখা গেছে।

রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে তরুণ ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? একটু মাঝেমধ্যে দুই একটা খুনখারাবি হয়। হাদির ওপর গুলির ঘটনাও আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই মনে করি।”

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পটভূমি তুলে ধরে এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনকে ঘিরে এ ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। অতীতের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “আগে কি আহসানউল্লাহ মাস্টার খুন হন নাই? সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া সাহেব খুন হন নাই? নির্বাচন এলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকে।” তাঁর মতে, বর্তমান পরিস্থিতি আগের তুলনায় বরং উন্নত।

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তখন থানাগুলো কার্যত অচল ছিল এবং পুলিশ স্টেশনগুলোও ঠিকভাবে কাজ করতে পারছিল না। “সেই সময়ের তুলনায় এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন মানুষ শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছে, রাস্তায় চলতে পারছে, শান্তিতে ঘুমাতে পারছে,” বলেন সিইসি।

নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ইনশা আল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে হবে।” তিনি সবাইকে দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে নির্বাচনের প্রস্তুতিতে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।

জাতিকে দেওয়া অঙ্গীকার প্রসঙ্গে এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, নির্বাচন কমিশন সেই ওয়াদা পালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি জানান, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে পূর্ণ প্রস্তুতির আশ্বাসও পাওয়া গেছে।

নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে সিইসি বলেন, এবারের নির্বাচন নানা দিক থেকে ঐতিহাসিক। প্রথমবারের মতো ডাকযোগে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ১০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, কারাবন্দি এবং নিজ নির্বাচনী এলাকার বাইরে থাকা সরকারি কর্মচারীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি একই দিনে একটি গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনাও রয়েছে।

সবশেষে তিনি বলেন, “একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন একা সফল হতে পারে না। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের এটি করতে হবে।” বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।


এই বিভাগের আরো খবর