সিরিজ হেরে উইকেটকে দুষলেন না। কোনো রকম অজুহাত দাঁড় করালেন না। নেতিবাচক একটি কথাও বললেন না। বরং বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিলেন ড্যারেন স্যামি। গত বৃহস্পতিবার ওয়ানডে সিরিজ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেড কোচ বলেন, ‘আমি আমার দলের পারফরমেন্সে চরম হতাশ। বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতে চাই। তারা নিজেদের কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের ৩ শাখায় শ্রেয়তর নৈপুণ্য দেখিয়েই জিতেছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশ এ সিরিজে যোগ্যতর দল হিসেবেই জিতেছে এবং তারা জেতার দাবিদার। এ কন্ডিশনে জেতার জন্য যা যা করনীয়, আমরা তা করতে পারিনি। বরং বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা দেখিয়েছে এখানে কখন কী করতে হবে। তারা পরিবেশ-পরিস্থিতিটা খুব ভালোভাবে বুঝে উঠে সেই অনুযায়ী গেম প্ল্যান করেছে এবং তার স্বার্থক প্রয়োগ ঘটিয়েছে।’ উইকেট নিয়ে কোনো ধরনের নেতিবাচক কথা না বলে স্যামি বলে ওঠেন, ‘সব দলই হোম অ্যাডভান্টেজ নেয়। বাংলাদেশও নিয়েছে। তাতে দোষের কিছু দেখিনা।’ নিজ দলের ক্রিকেটারদের সমালোচনা করে স্যামি বলেন, ‘বাংলাদেশ আর আমাদের দুই দলের জন্যই এ সিরিজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের ক্রিকেটারদের অ্যাপ্রোচ, অ্যাপ্লিকেশন দেখে তা মনে হয়নি। তারা পুরো সিরিজে ভালো খেলনি। জেতার খেলাটাই খেলেনি।’ নিজ দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করলেও আকিল হোসেনের আত্মনিবেদন দেখে অভিভূত ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ। স্যামির কথা, ‘আমি উইকেট দেখে বাড়তি স্পিনার হিসেবে বলেছিলাম আকিলকে ওয়ানডে দলে চাই। সে ২ বছরের বেশি সময় ধরে ওয়ানডে খেলে না। আমার ধারণা ছিল সে শেষ ওয়ানডে মানে এই ম্যাচটি খেলবে। কিন্তু সে দ্বিতীয় ম্যাচের আগের মধ্য রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে উড়ে এসে ভোরে টিম হোটেলে চেক ইন করে খেলার দিন সকালে বলে-কোচ আমি খেলতে চাই। তারপর সে কী করেছে, তা সবাই দেখেছে।’