সর্বশেষ :
আসন ফিরিয়ে না দিলে বাগেরহাটকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার হুমকী বিএনপির দুই আগষ্ট বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের জন্মবার্ষিকীতে পাইকগাছায় নানা কর্মসূচি আঠারো মাইল থেকে কয়রা পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের দাবীতে নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন ও স্থানীয় প্রার্থীর দাবীতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত  বন্যায় ভিয়েতনামের দিয়েন বিয়েনে মৃত্যু-নিখোঁজ ১৪ যুক্তরাজ্যে চ্যানেল পেরিয়ে রেকর্ড ২৫ হাজার অভিবাসী আফগানদের পাকিস্তান ত্যাগে নতুন নির্দেশ জারি রাশিয়ার হামলায় কিয়েভে দুই বছরের শিশুসহ নিহত ২৮ চীনে বন্যায় নিহত ৭০, স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহ ভূমিকম্পে চিলির খনি ধসে ১ জনের প্রাণহানি কানাডার পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধিতে হতাশ কার্নি
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

দ্বন্দ্বে জড়ালেন বাঁধন-সোহানা

প্রতিনিধি: / ২২ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫

গত বছরের জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেশের বিনোদন জগতে তৈরি হয়েছে নানা মতপার্থক্য ও বিভাজন। যার রেশ কাটেনি এখনও। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ও সোহানা সাবার সঙ্গে লেগে উঠেছে এক ভার্চুয়াল দ্বন্দ্ব; যা ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা। নেটিজেনদের অধিকাংশেরই ধারণা, জুলাইকেই কেন্দ্র করেই হয়তো এমন দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন এই শিল্পীরা। জুলাই আন্দোলনের সময় থেকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সরব ছিলেন বাঁধন। রাজপথে নেমে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানান তিনি। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ট্রলের মুখেও পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে; তা নিয়ে একে একে মুখ খোলেন অভিনেত্রী। অন্যদিকে সোহানা সাবা আলোচনায় ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে; আলো আসবেই গ্রুপ কাণ্ডে নামও উঠেছিল তার। সব মিলিয়ে দুই শিল্পীর সাম্প্রতিক এই দ্বন্দ্ব ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। মূলত, গত বৃহস্পতিবার বাঁধনের একটি ফেসবুক পোস্টের মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। এক নারীর মন্তব্যের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন সোহানা সাবা। সেখানে সোহানা সাবা লেখেন, ‘এই কমেন্টটা আপু ডিলিট করে দিয়েছেন… হয়তো দিদিটিকে ব্লকও করেছেন… ভাগ্যক্রমে আমার টাইমলাইনে ভেসে উঠেছিল, তাই সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছিলাম।’ শেয়ার করা ওই স্ক্রিনশটে বাঁধনের উদ্দেশে করা সেই নারীর মন্তব্যটি ছিল, ‘সারা জীবন ড্রামাবাজি করে সতী সাজতে চেয়েছেন… আপনি আপাদমস্তক একজন ভণ্ড। আপনার পুরো জগৎটা ঘোরে আপনাকে ঘিরেই। কী জীবন আপনার! করুণা লাগে আপনাকে দেখে। কেউ যদি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হতেন, তাহলে কলকাতায় গিয়ে ব্যক্তিজীবনের কেচ্ছা গাইতেন না।’ এই পোস্টের পর মন্তব্যের ঘরেও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন সোহানা সাবা। লেখেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম স্ক্রিনশট নিয়ে কিছু পোস্ট করব না। কিন্তু পরে মনে হল এটা তো পাবলিক পোস্ট, যে কেউ নিতে পারে, শেয়ার করতেও পারে। তাই আমিও করলাম।’ সোহানা সাবার পোস্টের কিছুক্ষণ পরই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ প্রতিক্রিয়া জানান আজমেরী হক বাঁধন। সেখানে নাম উল্লেখ না করলেও স্পষ্টভাবেই ইঙ্গিত দেন, কেউ তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। সেই পোস্টে বাঁধন লেখেন, ‘আমার কিছু সহকর্মী- যাদের সঙ্গে আমি একসঙ্গে কাজ করেছি, মঞ্চে দাঁড়িয়েছি, যাদের বিশ্বাস করতাম, তারা ইন্টারনেটে আমার ওপর নির্মম ও অপমানজনক আক্রমণ চালাচ্ছেন। তাদের কথাগুলো ছিল অমানবিক, উদ্দেশ্য ছিল আমাকে ছোট করা। তারা শুধু আমাকে নয়, আমি যা কিছুতে বিশ্বাস করি, সেগুলোকেও অসম্মান করছে। এই তালিকায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তরাও আছেন।’ বাঁধনের পোস্টের ভাষা দেখে অনেকেই ধারণা করছেন, তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন সরাসরি সোহানা সাবাকে উদ্দেশ করেই।


এই বিভাগের আরো খবর