বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়া, চীন, উজবেকিস্তান

প্রতিনিধি: / ৩৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫

২০২৬ এএফসি নারী এশিয়ান কাপের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। বিকেল ৩টায় অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত শহর সিডনির টাউন হলে অনুষ্ঠিত ড্রয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত হয়েছে, কোন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ দল ও গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ কারা। ড্র-তে বাংলাদেশ পড়েছে ‘বি’ গ্রুপে। বহুল কাঙ্ক্ষিত টুর্নামেন্টে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের অন্য তিন প্রতিপক্ষ- উত্তর কোরিয়া, চীন ও উজবেকিস্তান। ১২টি দল তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে এই টুর্নামেন্ট খেলবে।
‘এ’ গ্রুপ: অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, ফিলিপাইন
‘বি’ গ্রুপ: উত্তর কোরিয়া, চীন (ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন), বাংলাদেশ, উজবেকিস্তান
‘সি’ গ্রুপ: জাপান, ভিয়েতনাম, ভারত, চাইনিজ তাইপে (তাইওয়ান)

২০২৬ সালের ১ মার্চ স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও ফিলিপাইনের মধ্যকার দিয়ে শুরু হবে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের ২১তম আসর। ২১ মার্চ ফাইনালের মাধ্যমে নামবে টুর্নামেন্টের পর্দা। এবারই প্রথম এশিয়ান খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে বাঘিনীদের সুযোগ রয়েছে ২০২৭ ফিফা বিশ্বকাপ ও ২০২৮ সালের অলিম্পিক গেমসে খেলার। অভাবনীয় নৈপুণ্য দেখিয়ে সেরা ৬ দলের মধ্যে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারলেই ২০২৭ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। কাজটি কঠিন হলেও কাগজ-কলমে সেই সম্ভাবনা থাকছেই। কেননা বাংলাদেশ বাছাইপর্বে তুলনামূলক শক্তিশালী দল মিয়ানমারকে হারিয়ে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করেছে। এশিয়ান কাপে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে গ্রুপের প্রত্যেক দল প্রত্যেকের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলবে। এই পর্বের খেলা শেষে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যাবে। তিন গ্রুপ থেকে এভাবে ৬টি দল যাবে শেষ আটে। বাকি দুই দল আসবে প্রত্যেক গ্রুপের তৃতীয়স্থানে থাকা দলগুলোর মধ্যকার আরও একটি রাউন্ড রবিন পদ্ধতির লড়াইয়ের মাধ্যমে, যেখানে তিন দলের লড়াই শেষে শীর্ষ দুই দল যোগ দেবে কোয়ার্টারে আগেই জায়গা নিশ্চিত করা ৬ দলের সঙ্গে। কোয়ার্টার ফাইনালের পর যথারীতি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। আর বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে হলে বাংলাদেশকে কী করতে হবে সেটিও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

এশিয়া অঞ্চল থেকে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে খেলবে সর্বোচ্চ ৮টি দল। এর মধ্যে এএফসি এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে ওঠা চার দল সরাসরি চলে যাবে বিশ্বকাপে। কোয়ার্টার ফাইনালে হারা চার দলের মধ্যে হবে প্লে-অফ। প্লে-অফ খেলার মাধ্যমে যাবে দুই দল। প্লে-অফে পরাজিত দুই দল খেলবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে। সেই প্লে-অফে এশিয়ার দল জিতলে ৮টি দলের সুযোগ হবে বিশ্বকাপ খেলার। অর্থাৎ বাংলাদেশ যদি এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারে, তাহলে তিন-তিনটি সুযোগ থাকবে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা ৮ দলের থাকবে অলিম্পিক গেমসে খেলার সুযোগ। এই ৮ দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। চ্যাম্পিয়ন দুই দল লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের নারী ফুটবলের টিকিট পাবে।


এই বিভাগের আরো খবর