বিনোদন: বলিউড সুপারস্টার আমির খানের ক্যারিয়ারে বড় ধাক্কা ছিল ‘লাল সিং চাড্ডা’র ব্যর্থতা। সেই ধাক্কা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে বড় পর্দায় ফিরেছেন তিনি ‘সিতারে জমিন পার’ সিনেমা নিয়ে। বহু প্রতীক্ষিত এই স্পোর্টস ড্রামাটি মুক্তি পেয়েছে গত বৃহস্পতিবার। সিনেমাটি ঘিরে ভক্তদের প্রত্যাশা যেমন ছিল তুঙ্গে, তেমনি সমালোচকদের মধ্যেও ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
মুক্তির প্রথম দিনেই ‘সিতারে জমিন পার’ আয় করেছে ₹১১.০৫ কোটি রুপি। সংখ্যাটি খারাপ নয়, তবে আমির খানের ক্যারিয়ার ও খ্যাতি বিবেচনায় এটি আশাব্যঞ্জকও বলা যাচ্ছে না। উল্লেখযোগ্য যে, ‘লাল সিং চাড্ডা’ প্রথম দিনে আয় করেছিল ₹১১.৭ কোটি রুপি। সেই হিসেবে, নতুন এই ছবির সংগ্রহ তার আগের ব্যর্থ ছবিকেও ছুঁতে পারেনি।
‘সিতারে জমিন পার’-এর কাহিনির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ১০ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু, যাদের নিয়ে গড়ে ওঠে এক আবেগময় স্পোর্টস জার্নি। একজন বাস্কেটবল কোচ ‘অমিতাভ’, যাঁর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান, এই শিশুদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুনভাবে জীবন খুঁজে পেতে সাহায্য করেন।
সেই ১০ জন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরুশ দত্ত, গোপী কৃষ্ণ ভার্মা, সম্বিত দেশাই, বেদান্ত শর্মা, আয়ুষ বনশালি, আশিস পেন্ডসে, ঋষি শাহানি, ঋষভ জৈন, নমন মিশ্র ও সিমরান মঙ্গেশকর। এই ব্যতিক্রমী কাস্টিং সিনেমাটিকে দিয়েছে একটি মানবিক ও বাস্তবধর্মী স্পর্শ। আমিরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন জেনেলিয়া ডি’সুজা। সিনেমাটির পরিচালনা করেছেন আরএস প্রসন্ন।
তবে এটাও উল্লেখযোগ্য যে, ‘সিতারে জমিন পার’ আসলে স্প্যানিশ হিট ছবি ঈধসঢ়বড়হবং-এর হিন্দি রিমেক। সেই হিসেবে অনেকেই ছবিটির মৌলিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
প্রথম দিনের বক্স অফিস প্রতিবেদন একদিকে যেমন আমিরের জন্য পুরোপুরি হতাশাজনক নয়, তেমনি এটাও বোঝায় যে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ এখনো সীমিত। সবশেষে এখন দৃষ্টি থাকবে সপ্তাহান্তের বক্স অফিস সংগ্রহের দিকে। ‘ওয়ার্ড-অফ-মাউথ’ এবং দর্শকদের অভিজ্ঞতা পরবর্তী দিনগুলোতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
দীর্ঘ বিরতির পর আমির খান এই সিনেমাকে দিয়ে যদি দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চান, তাহলে শুধু তারকা-জৌলুশ নয়, দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া প্রয়োজন।