সর্বশেষ :
সদস্য কাজীবাগেরহাটে ইমাম সমিতির সংবাদ সম্মেলন জেলা বিএনপির প্রতিবাদ উড়োজাহাজ সংকটে সংকুচিত হচ্ছে বিমানের আন্তর্জাতিক রুট হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক—বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা রাজনৈতিক দলগুলোর নিরাপত্তা প্রটোকল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত সরকারের হাদিকে গুলি: পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে ভারতের সহযোগিতা চাইছে বাংলাদেশ ওসমান হাদির হামলাকারী মূল আসামি দেশেই রয়েছে : ডিএমপি মোরেলগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আজ মোরেলগঞ্জ মুক্তদিবস ৮ চিকিৎসকের কাঁধে দেড় লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ বাড়ছে উদ্বেগজনকভাবে বাগেরহাট প্রেসক্লাব নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা ও যাচাই বাছাই সম্পন্ন 
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

যে সমস্যাগুলো থাকলে এড়িয়ে চলবেন ওটস

প্রতিনিধি: / ১২৮ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দ্রুত ওজন কমাতে ওট্সের কার্যকারিতার কথাও শোনা যায়। কার্বোহাইড্রেট কম খেয়ে ওজন কমাতে চাইলে, ওট্সই সবচেয়ে ভাল বিকল্প। ভাত-রুটি ছেড়ে এখন ওট্স খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অনেক পুষ্টিবিদ। তবে ওট্স বা যব কি সবার জন্যই স্বাস্থ্যকর? সকালের নাস্তায় রুটি-পরোটা বাদ দিয়ে অনেকেই এখন ওট্স খাচ্ছেন। ওট্স দিয়ে নানা রকম রেসিপিও ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। কিন্তু কিছু শারীরিক সমস্যা থাকলে ওট্স আপনার উপকার না করে বরং ক্ষতি করতে পারে। জেনে নিন কোন ৫টি সমস্যা থাকলে ওট্স খাওয়া একেবারেই উচিত হবে না।

১) গ্লুটেন অ্যালার্জি বা সিলিয়াক রোগ
গ্লুটেনে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। গ্লুটেনে এক ধরনের প্রোটিন যা বেশি খেলে অনেকের শরীরেরই অটোইমিউন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। খাদ্যনালির ক্ষুদ্রান্ত্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির (মিউকাস মেমব্রেন) ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও তা খসে যেতে থাকে। এর ফলে পেট ভারী লাগা, পেট ব্যথা এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। একে বলে সিলিয়াক রোগ। এই রোগে মুখে-জিভে ছোট আলসারও হতে পারে। এমন অসুখ থাকলে ওট্স খাওয়া ঠিক হবে না।

২) ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস
আইবিএস থাকলে ওট্স খাওয়া ঠিক নয়। ওজন কমাতে যারা তিন বেলা ওট্স খাচ্ছেন, তাদের লাভ কিছুই হবে না, উল্টে পেটের সমস্যা আরও বাড়বে।

৩) ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ওট্স উপকারী, এই ধারণা ঠিক নয়। ওট্সের জটিল কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে ওট্স না খাওয়াই ভাল।

৪) খনিজের ঘাটতি
কার্বোহাইড্রেট-প্রোটিন-ফ্যাট সব বাদ দিয়ে শুধু ওট্স খেতে শুরু করলে শরীরে খনিজ উপাদানের ঘাটতি হতে পারে। ওট্সে থাকে ফাইটিক অ্যাসিড যা ক্যালশিয়াম, আয়রন ও জিঙ্ক শোষণে বাধা দেয়। তাই বেশি পরিমাণে ওট্স খেলে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা
ওট্স মানেই হাই-ফাইবার ডায়েট। যারা বেশি ফাইবার খেতে অভ্যস্ত নন, তাদের পেটে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তা আরও বেড়ে ডেতে পারে।

অনেক ভালো জিনিসই সবার জন্য ভালো নাও হতে পারে। ওট্স বা যব নিঃসন্দেহে একটি ভালো খাবার। তবে এটি আপনার শরীরের জন্য কতটা ভালো সেটা না বুঝে ডায়েট পাল্টে ফেলবেন না। বরং আপনার শরীরের বিশেষ চাহিদাগুলো জানার চেষ্টা করুন ও পুষ্টিবিদের পরামর্শে নিজের জন্য আদর্শ ডায়েট নির্বাচন করুন।


এই বিভাগের আরো খবর