
কুতুবদিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান হোসেন বলেছেন, “আমি চাই কুতুবদিয়া সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত একটি নিরাপদ দ্বীপ হোক। এখানে যেন কেউ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত হতে না পারে, মাদকের ছায়া না পড়ে, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
সম্প্রতি স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদমাধ্যম এর একজন প্রতিনিধির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ওসি আরমান হোসেন জানান, কুতুবদিয়ায় মাদক ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশ প্রশাসন সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে, যার ফলে অনেক মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী আইনের আওতায় এসেছে।
তিনি বলেন, “আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে, সন্দেহভাজন অপরাধীদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যারা মাদকের সঙ্গে জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”
কুতুবদিয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, “কেউ যদি অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হয়, রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কুতুবদিয়ার মানুষ শান্তিপ্রিয়, এখানে সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নেই।”
তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। পরিবারের সদস্যদের সচেতন হতে হবে, সন্তানদের প্রতি নজর রাখতে হবে। তবেই আমরা একটি সুন্দর ও নিরাপদ কুতুবদিয়া গড়ে তুলতে পারব।”
ওসি আরমান হোসেন বলেন, “জনগণের সাহায্য ছাড়া সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। আমরা চাই, কুতুবদিয়ার জনগণ পুলিশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুক। মাদক বা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সম্পর্কে কেউ কিছু জানলে পুলিশকে তথ্য দিন, আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “যদি সবাই একসঙ্গে কাজ করি, তবে অচিরেই কুতুবদিয়া সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত হবে এবং শান্তির দ্বীপে পরিণত হবে।”
কুতুবদিয়াকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার লক্ষ্য বাস্তবায়নে পুলিশের এই কার্যক্রম কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে স্থানীয়দের প্রত্যাশা, ওসি আরমান হোসেনের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে, দ্বীপবাসী নিরাপদ থাকবে।