ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা): পাইকগাছায় মেশিনে মাসকালাই মাড়াইয়ের ভিড় বাড়ছে। আগে ঢেঁকি বা শিলপাটায় পেশাই করে বড়ি তৈরি করা হতো, কিন্তু এখন মেশিন ব্যবহার করে দ্রুত ও কম পরিশ্রমে মাষকলাই এবং কুমড়ো একসাথে মিহি করা হচ্ছে, যা সময় ও শ্রম বাঁচায়। এই মেশিন ব্যবহারের ফলে বাণিজ্যিকভাবে বড়ি উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে।
কুমড়া বড়ি তৈরির এই যান্ত্রিক পদ্ধতি শ্রমিক সংকট দূর করে, উৎপাদন খরচ কমায় এবং সময় সাশ্রয় করে। ধান মাড়াইয়ের মতো মাসকালাই মাড়াইয়েও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে, যা গ্রামের নারীদের জন্য একটি সুবিধাজনক সমাধান।
কুমড়া বড়ি তৈরির জন্য পাইকগাছার বিভিন্ন হাট- বাজারে মেশিন বসানো হয়েছে। এই মেশিনে মাষকলাইয়ের ডাল ও চালকুমড়া মাড়াই করে মসৃণভাব তৈরি করা হয়। খুব ভোর থেকে এই মেশিনে মাষকলাইয়ের ডাল ও চালকুমড়া মাড়াই করা শুরু হয়। মেশিনে মাষকলাইয়ের ডাল ও চালকুমড়া মাড়াই করে মসৃণ বাড়িতে নিয়ে পেস্ট মতন তৈরি করে বড়ি দেওয়া হয়। পাইকগাছার নতুন বাজারে কুমড়া বড়ি মাড়াই মেশিন পরিচালক নুর ইসলাম বলেন, কেজি প্রতি মাষকলাই ১৫ টাকা ও টালকুমড়া ১০ টাকা দরে মাড়াই করা হয়।
কুমড়া বড়ি তৈরির জন্য মাষকলাইয়ের ডাল ও চালকুমড়া একসঙ্গে মেশাতে হবে। প্রথমে মাষকলাইয়ের ডাল সারারাত ভিজিয়ে বেটে, বেলেন্ডারে বা মেশিনে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এরপর চালকুমড়ার পেস্ট একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে অনেকক্ষণ ধরে মাখাতে হবে, যাতে মিশ্রণটি ফ্লাপি হয়ে ওঠে।
কুমড়ার বড়ি তৈরির মিশ্রণ মেশিনের দোকানে ভিড় বাড়ার কারণ হলো শীতকালে বড়ির চাহিদা বৃদ্ধি এবং হাতে তৈরির তুলনায় মেশিনের সাহায্যে দ্রুত ও সহজে বড়ি তৈরি করার সুবিধা।
মেশিনের সাহায্যে বড়ি তৈরি সহজ হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন বাড়ছে, যার ফলে মেশিন ব্যবহারের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণত চাল কুমড়া ও মাসকলাই ডালের মিশ্রণে বড়ি তৈরি হয়। শীতকালে কুমড়া বড়ির চাহিদা অনেক বেশি থাকে, তাই এই সময়ে উৎপাদন বাড়াতে মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।