বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার ও আমাদের করণীয়” শীর্ষক গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার(১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার হলরুমে উদয়ন বাংলাদেশ ও আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট এর আয়োজনে । প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করেছে এম্বাসি অব সুইজারল্যান্ড, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) । উদয়ন বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ইসরাত জাহান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিয়া খাতুন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ সোহেল পারভেজ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম মোর্শেদ, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, মোঃ জাহিদুল ইসলাম ,এসময উপস্থিত ছিলেন ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা জয়দেব কুমার হুই ,উপজেলা নাগরিক কমিটির ,সাধারণ সম্পাদক নাদিরা আকরাম, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এস এম রাজ ,সাংবাদিক সৈয়দ শওকত হোসেন,আজাদুল হক।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তৃতা করেন উদয়ন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আসাদ, প্রতিবেদন উপস্থাপনা করেন ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন নাগরিক কমিটির সভাপতি কোহিনূর বেগম, প্রাপ্ত ফলাফল- ভাতাভোগী ১৫৭ জনের মধ্যে ভাতার টাকা ওষুধ ক্রয় তথা নিজের স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় করেন ৭৩ জন। অন্যদিকে খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে ভাতার টাকা ব্যবহার করেন ৪৯ জন। উভয় প্রয়োজনে ভাতার টাকা ব্যবহার করেন ৩৫ জন। অর্থাৎ ভাতাভোগীদের দুটি মৌলিক চাহিদা পূরণে ভাতার টাকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে দেখা যায়। মোট জরিপকৃত ২৭১ জনের মধ্যে ৭২ জন বলেছেন ভাতা প্রদান প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি/অনিয়ম হয়। ৯৫ জন বলেছেন হয় না। ১০৪ কোন মতামত প্রকাশ করে নি। গনসুনানীতে সুপারিশ করা হয়- জরিপকৃতদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য ঘাটতি রয়েছে। অন লাইন আবেদন ফর্ম পূরণে যেসব তথ্য উপাত্ত সংযুক্ত করা দরকার অধিকাংশরাই তা জানেন না। আবেদনের সময় সীমা সম্পর্কেও অনেকে জানেন না। ফলে অনেকেই আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও যথা সময়ে আবেদন করতে পারেন না। তাই আবেদনের সময় সীমা বৃদ্ধিসহ প্রতিটা ওয়ার্ডে বেশী করে মাইকিং করা।