নজরুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক, কুতুবদিয়াঃ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য সরকারের প্রকল্প থাকলেও সারাদেশে তা কার্যকরভাবে পরিচালনার মত সক্ষমতা এখনো তৈরি হয়নি। প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি মানসম্মত বিদ্যালয় গড়ে তুলে সেখানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য স্পেশাল শিক্ষা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন,
“দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। সরকার চাইলে পদোন্নতি বা নতুন নিয়োগ দিতে পারছে না। ছোট একটি মামলার কারণে সবকিছু আটকে আছে। মামলা নিষ্পত্তি হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।”
শিক্ষার সার্বিক মান নিয়ে তিনি আরও বলেন,
“কুতুবদিয়া একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল। এখানে বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পোশাক দেখেই বোঝা যায় তারা দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাড়িতে তেমন সহায়তা না পাওয়ায় পড়াশোনায় বেশিরভাগটাই বিদ্যালয়ের উপর নির্ভরশীল। প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষকদের সমস্যা এখন জাতীয় রোগে পরিণত হয়েছে।”
সফরের শুরুতে সকাল ১০টার দিকে তিনি দরবার ঘাট হয়ে কুতুবদিয়া পৌঁছে উত্তর লেমশীখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ধুরুং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৈয়ারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নতুন বাতিঘর পরিদর্শন করেন। বিদ্যালয়গুলোর পরিবেশ, পাঠদান কার্যক্রম, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এবং সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা তিনি ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করেন।
পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন—উপদেষ্টার সহধর্মিণী ডাঃ রমা সাহা, একান্ত সচিব সত্যজিত রায় দাশ, সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা শিবলী সাদিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যাথোয়াইপ্রু মারমা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব উল আলম, প্রাথমিক শিক্ষা ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী রেজা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন মিয়া, স্থানীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুসলিম উদ্দিন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. ফরহাদ মিয়া প্রমুখ।