পুনরায় টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০২৭ পর্যন্ত থাকবেন এ দায়িত্বে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৫-২০২৭ চক্র পর্যন্ত বাংলাদেশকে বড় দৈর্ঘ্যরে ক্রিকেটে নেতৃত্বে দেবেন তিনি। গত ২৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট হারের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন নাজমুল। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার ব্যক্তিগত অভিমত যে, তিনজন অধিনায়ক দলের জন্য সমস্যা হতে পারে। দলের ভালোর জন্য এখান থেকে সরে আসছি। যদি ক্রিকেট বোর্ড মনে করে যে, তিনজন অধিনায়কই রাখবে, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।” কিন্তু, সেই তিন অধিনায়ক যুগেই আবার প্রবেশ করলেন তিনি। লিটন দাস টি-টোয়েন্টির দায়িত্বে। মিরাজকে এক বছরের জন্য দেওয়া হয়েছে ওয়ানডের দায়িত্ব। নাজমুল দুই বছরের জন্য টেস্ট ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেবেন। ২০২৩ সালে মুমিনুল হকের কাছ থেকে টেস্ট দলের দায়িত্ব নেন নাজমুল। এখন পর্যন্ত ১৪ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘শান্ত ধৈর্য, প্রতিশ্রুতি এবং টেস্ট ক্রিকেটে গভীর বোধগম্যতা দেখিয়েছেন। তার নেতৃত্বে আমরা দলের ভেতরে বিশ্বাস এবং এগিয়ে যাওয়া দেখেছি। বোর্ড মনে করে যে, তার নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা আমাদের এই নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভালোভাবে সাহায্য করবে।’’ পুনরায় দায়িত্ব পেয়ে শান্ত খুশি এবং গর্বিত। তবে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক নিয়ে তেমন কিছু বললেন না। তিনি বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব ধরে রাখতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি এবং আমার অধিনায়কত্বের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের জন্য আমি বোর্ডের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গর্ব। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব।” সামনেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিলেট ও ঢাকায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব পাওয়া শান্ত সামনের ভরা মৌসুমের অপেক্ষায় আছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, ‘‘এত প্রতিভা এবং সম্ভাবনাময় একটি দলকে নেতৃত্ব দেওয়া আনন্দের। আমি বিশ্বাস করি, সামনে একটি রোমাঞ্চকর ও ইতিবাচক মৌসুম অপেক্ষা করছে। এই মাসেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি সিরিজের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, যা বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের জন্য একটি ব্যস্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ের সূচনা করবে।’’ ১১ নভেম্বর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট মিরপুরে ১৯ নভেম্বর। ৮ নভেম্বর থেকে সিলেটে বাংলাদেশের প্রস্তুতি শুরু হবে।