সর্বশেষ :
মোরেলগঞ্জ শ্রমিক  দলের  সাধারণ সম্পাদকের  পিতার ইন্তেকাল কচুয়ায় ১৭ বছর পরে যুব দলের মিছিল-সমাবেশ সাংবাদিকদের পারিশ্রমিক নিয়ে উপ-প্রেস সচিবের দীর্ঘ বার্তা ব্যানার টানানো নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ৮ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আনসার ব্যাটালিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরলেও নির্বাচন এ সরকারের অধীনেই: শিশির মনির বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণে মারাত্মক ঝুঁকিতে দেশের সবগুলো বিমানবন্দর মোরেলগঞ্জে সাড়ে ৩ কোটি টাকায় নির্মিত অত্যাধুনিক সাইক্লোন শেল্টারের উদ্বোধন (ফলোআপ):কুতুবদিয়ায় বাপ্পী হত্যা: ৯ জনের নামে মামলা মোরেলগঞ্জে সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে জার্মান সরকারের সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ইলেকট্রনিকস শিল্পে ১০ বছরে ভারতের অভাবনীয় সাফল্য

প্রতিনিধি: / ২২ দেখেছেন:
পাবলিশ: বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

বিদেশ : ভারতে ইলেকট্রনিকস শিল্পে গত এক দশকে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। মোদি সরকারের শিল্প বান্ধব নীতির ফলে এই সময়ের মধ্যে, ইলেকট্রনিকস পণ্যের উৎপাদনের আর্থিক মূল্য দু লাখ কোটি রুপির কম থেকে প্রায় ছগুণ বেড়ে ১১ লাখ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৪ু১৫ অর্থবছরে ভারতে ইলেকট্রনিঙ্ পণ্য উৎপাদনের আর্থিক পরিমাণ ছিল এক দশমিক নয় লাখ কোটি রুপি। আর দশ বছর বাদে ২০২৪ু২৫ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩ লাখ কোটি রুপি। একই সময়ে রফতানিতে পরিমাণ ৩৮ হাজার কোটি রুপি থেকে আট গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে তিন দশমিক ২৭ লাখ কোটি রুপিতে পৌঁছেছে। এই খাতে নতুনভাবে প্রায় ২৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে ভারত সরকারের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা। গোটা বিশ্বের বাজার ধরতে সরকার ২০৩০ু৩১ অর্থবছরকে সামনে রেখে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের একটি পূর্ণাঙ্গ ইলেকট্রনিঙ্ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার টার্গেট নিয়েছে। এ জন্য আইফোন, স্মার্ট টিভি, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, বোটিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, কফি মেশিন, বিল্ট-ইন-রেফ্রিজারেটর এবং এয়ার ফ্রায়ারের মতো ইলেকট্রনিঙ্ পণ্য অভ্যন্তরীণভাবে তৈরির ব্যাপারে জোর দিয়েছে ভারত সরকার। এসব পণ্যের অনেকগুলোই আগে আমদানি করা হতো। আর ২০২৪ু২৫ অর্থবছরে এসে ভারতের ইলেকট্রনিঙ্ রফতানির শীর্ষ পাঁচটি গন্তব্য হলো— যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, ব্রিটেন এবং ইতালি। অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত এই খাতে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে চারশ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। এছাড়া, বিগত বছরগুলোতে ভারতে আমদানি সংক্রান্ত জটিলতা কমার কারণে এখন বহু বহুজাতিক কোম্পানি ভারতেই পণ্য তৈরি করছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ইউরোপের সংস্থা লিবহের। সমপ্রতি আওরঙ্গাবাদে বিল্ট-ইন-রেফ্রিজরেটরের প্ল্যান্ট তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বছরে মাত্র ১৪ থেকে ১৫ হাজার ইউনিটের বিক্রি থাকলেও কারখানা তৈরি করেছে এই সংস্থা। লিবহের ভারতীয় শাখার ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সেলস) কপিল আগরওয়াল বলেছেন, আগে আমরা জার্মানি থেকে আমদানি করতাম। কিন্তু প্ল্যান্ট তৈরি হওয়ায় আমদানি সংক্রান্ত জটিলতা কমেছে। আমাদের বিশ্বাস এই পণ্যের বাজার আগামী দিনে অনেকটা বাড়বে। ক্রম্পটন গ্রিভেস, হ্যাভেলস ইন্ডিয়ার মতো একাধিক সংস্থা বার্ষিক প্রতিবেদনে নিজেদের পণ্য স্থানীয় স্তরে তৈরির ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছে। গত এক বছরে এই সব সংস্থা আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে লোকালাইজ প্রোডাকশনও বাড়িয়েছে। পাশাপাশি মুঠোফোন উৎপাদনেও যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে ভারত। গত এক দশকে এই খাতে ২৮ গুণ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। ২০১৪ু১৫ অর্থবছরে মুঠোফোন উৎপাদনের আর্থিকমূল্য ছিল ১৮ হাজার কোটি রুপি, যা ২০২৪ু২৫ অর্থবছরে পৌঁছেছে ৫ দশমিক ৪৫ লাখ কোটি রুপিতে। বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুঠোফোন প্রস্তুতকারী দেশ ভারত। ২০১৪ সালে যেখানে মাত্র দুটি মুঠোফোন উৎপাদন ইউনিট ছিল, এখন সেই সংখ্যা তিন শতাধিক। এছাড়া, মুঠোফোন রফতানি ১২৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, এক বছরেই দুলাখ কোটি রুপির রফতানি হয়েছে, যার মধ্যে শুধু অ্যাপলের ডিভাসই আছে এক দশমিক এক লাখ কোটি রুপি। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের তথ্য অনুযায়ী, এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রে স্মার্টফোন রফতানির দিকে তারা চীনকে টপকে এখন শীর্ষে অবস্থান করছে— যা বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে (সাপ্লাই চেইন) এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।


এই বিভাগের আরো খবর