বিদেশ: চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব্যুরোর সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আজ বৃহস্পতিবার যথাক্রমে কম্বোডিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাক সোহোন এবং থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিহাসার সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন। কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড উভয় পক্ষই ওয়াং ই’কে দু’দেশের সীমান্ত সংঘাতের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করে এবং উত্তেজনা কমানো ও যুদ্ধবিরতির ইচ্ছা প্রকাশ করে। ওয়াং ই বলেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড উভয় দেশের বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে চীন সর্বশেষ চায় যে, দুটি দেশ অস্ত্রসংবরণ করে করে আলোচনায় বসুক। সংঘাতের ফলে উভয়পক্ষের বেসামরিক লোকজন হতাহত হওয়ায় তিনি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সংঘাতের তীব্রতা অতীতের যে কোনো সংঘাতের চেয়ে অনেক বেশি, যা চলতে থাকলে উভয় পক্ষের জন্যই ক্ষতিকর হবে এবং তা আসিয়ানের ঐক্যকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এখন জরুরি বিষয় হলো সিদ্ধান্ত নেওয়া, যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতি, সময়মতো ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং পারস্পরিক আস্থা পুনর্র্নিমাণ করা যায়। ওয়াং ই বলেন, কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্ত বিরোধের বিষয়ে চীন শান্তি প্রচার ও আলোচনা, ন্যায্যতা ও নিষ্ঠার উপর জোর দিয়ে আসিয়ানের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য যাত্রা করেছেন। চীন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে যোগাযোগের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে থাকবে এবং দু’দেশের মধ্যে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে এগিয়ে নিতে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে। তিনি আশা করেন যে, দুটি দেশ চীনের প্রকল্প এবং কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং চীন ও দেশ দুটির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর কালিমা লেপনের জন্য যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকবে। প্রাক সোহোন এবং সিহাসা চীনের বস্তুনিষ্ঠ ও ন্যায্য অবস্থান এবং মধ্যস্থতা ও শান্তি প্রচারের জন্য উচ্চ প্রশংসা করেন। তারা চীনের বিশেষ দূতের মধ্যস্থতাকে স্বাগত জানান এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে ও শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চীন আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করেন।
সুত্র: সিএমজি