ছোট পুঁজি নিয়েও বড় জয় তুলে নিলো পাকিস্তান। দুবাইয়ে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৪১ রানে হারিয়েছে আনপ্রেডিক্টেবলরা। এই জয়ে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সঙ্গে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে সালমান আগার দল। বিদায় হয়ে গেছে আরব আমিরাতের। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৪৬ রান তুলেছিল পাকিস্তান। জবাবে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত। ১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু করেছিল আরব আমিরাত। দুই ওভারে তোলে ১৯ রান। তৃতীয় ওভারে আঘাত হানেন শাহিন আফ্রিদি। বাইরের বল স্টাম্পে টেনে বোল্ড হন আলিশান শরাফু (৮ বলে ১২)। পরের ওভারে হারিস রউফ ১২ দিলে ৪ ওভারেই ১ উইকেটে ৩৫ রান তোলে আরব আমিরাত। সেখান থেকে লড়াইয়ে ফেরে পাকিস্তান। আবরার আহমেদের বলে চোখ ধাঁধানো এক ক্যাচে ফেরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম ১৫ বলে ১৪)। পরের ওভারে মোহাম্মদ জুহাইবকে (৯ বলে ৪) বোল্ড করেন সাইম আইয়ুব। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৮ রান তুলতে পারে আরব আমিরাত। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ধ্রুব পারেশার আর রাহুল চোপড়া আরব আমিরাতকে আশা দেখান। এই উইকেটে ৫১ বলে ৪৮ রান যোগ করেন তারা। অবশেষে ১৪তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। ২৩ বলে ২০ করে ফেরেন ধ্রুব। পরের ওভারে আসিফ খানকে শূন্য রানে বোল্ড করেন আবরার। ৮৮ রানে ৫ উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তান। এরপরই লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে আরব আমিরাত। পরের দুই ওভারে হারায় আরও দুই উইকেট। অধিনায়ক সালমান আগা বল হাতে নিয়েই আউট করেন সেট ব্যাটার রাহুল চোপড়াকে (৩৫ বলে ৩৫)। একশর আগে (৯৮ রানে) ৭ উইকেট হারানো আমিরাত আর পেরে উঠেনি শেষ পর্যন্ত। ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক দল। পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ আর আবরার আহমেদ নেন দুটি করে উইকেট। এর আগে আরও একবার ব্যাটিংয়ে দুর্বলতা ফুটে উঠলো পাকিস্তানের। মান বাঁচালেন ফখর জামান আর শাহিন শাহ আফ্রিদি। ফখরের মারকুটে ফিফটি আর আফ্রিদির শেষের ক্যামিওতে ভর করেই বাঁচামরার ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৪৬ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। দুবাইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। রানের খাতা খোলার আগেই ডিপ থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাইম আইয়ুব (২ বলে ০)। এ নিয়ে এশিয়া কাপে তিন ম্যাচেই ডাক মারলেন এই ওপেনার। শাহিবজাদা ফারহান ১২ বল খেলে মাত্র ৫ রান করে উচ্চাভিলাষী শট খেলতে গিয়ে হন জুনায়েদ সিদ্দিকির দ্বিতীয় শিকার। ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। তৃতীয় উইকেটে ফখর জামান আর সালমান আগা ৫১ বলে ৬১ রানের জুটিতে বিপদ অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছিলেন। ২৭ বলে ধীরগতির ২০ রান করে সালমান ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর আবার বিপদে পড়ে পাকিস্তান। ফিফটি করেই সাজঘরের পথ ধরেন ফখর। ৩৬ বলে তার ৫০ রানের ইনিংসে ছিল ২ চার আর ৩ ছক্কার মার। সিমরানজিত সিংয়ের শিকার হয়ে হাসান নেওয়াজ ৩ আর খুশদিল শাহ ফেরেন ৪ করেই। একশর আগে (৯৩ রানে) ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৪ রানে আউট হন মোহাম্মদ নেওয়াজও। ঝড় তুলতে গিয়ে ১৪ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে জুনায়েদের বলে বোল্ড হন মোহাম্মদ হারিস। ভারত ম্যাচের মতো শেষদিকে এসে ঝড় তুলে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৪ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আরব আমিরাতের জুনায়েদ সিদ্দিকি মাত্র ১৮ রানে নেন ৪টি উইকেট। ২৬ রানে ৩ উইকেট শিকার সিমরানজিত সিংয়ের।