শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৮ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

শাপলা ফুলে চলে তার সংসার, পাননা কোন সুবিধাভোগীর সুবিধা

প্রতিনিধি: / ২৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মেহেদী হাসান লিপন, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) সংবাদদাতা : হাট-বাজারে শাপলা বিক্রি করে কোনমতে সংসার চালান দিনমজুর হানিফ শেখ। শাপলা
সংগ্রহ কিংবা বিক্রি ভালো না হলে অর্ধাহারে থাকতে হয় তাদের। অনাহার অর্ধাহারে দিন
কাটলেও পাননি ইউনিয়ন পরিষদের হতদরিদ্রের কোন সুবিধাভোগীর কার্ড।
সরেজমিনে জানা গেছে, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতি গ্রামের
বাসিন্দা হানিফ শেখ(৪৮)। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে অভাব অনটনের সংসার। মাথা
গোঁজার ঠাইটুকুই তাদের একমাত্র ভরসা। পরের বাড়িতে কামলা খেটে দিনমজুরি করে কষ্টে
কাটে দিন। ৫ বছর ধরে বিল থেকে শাপলা সংগ্রহ করে সংসারের হাল ধরে রেখেছেন হানিফ
শেখ। বাড়ি থেকে ৯ কিমি দূরবর্তী দেবরাজ গ্রামের বিল থেকে শাপলা সংগ্রহ করতে হয়।
সকাল ৬ টায় বাড়ি থেকে বের হতে হয় তাকে। বেলা ২-৩ টা চলে শাপলা সংগ্রহ করেন। বিকাল
থেকে রাত অবধি বিভিন্ন বাজারে মুঠি বেঁধে ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি করেন শাপলা।
ভ্যানে করে নারিকেল বাড়িয়া বাজার, চিংড়াখালী বাজার, চিংড়াখালী, তেলিগাতি বাজার,
পাশ্ববর্তী জিয়ানগরের চন্ডিপুর বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে তাকে যেতে হয়। বাড়ি
ফিরতে বাজে কমপক্ষে রাত ১০ টা। বাড়িতে স্ত্রী সন্তানদের অপেক্ষায় থাকে কখন চাল নিয়ে
আসবেন । শাপলা বিক্রি করতে পারলে সেদিন খাবার জুটে। না পারলে অভূক্ত থাকতে হয়।
সন্তানদেরও স্কুলে পাঠাতে হয়।
হতদরিদ্র দিনমজুর হানিফ শেখ জানান, এ সত্ত্বেও তিনি এখনো পর্যন্ত পাননি কোন
সরকারি সহযোগী। পাননি ভিজিভি কার্ড, টিসিবি কার্ড, ১৫ টাকা কেজি দরের ৩০
কেজি চালের সুবিধাভোগীর তালিকায়ও নাম নেই তার। চাহিদামত টাকা দিতে না পারায়
সুবিধাভোগীদের তালিকায় তার নামের জায়গা হয়নি। এভাবে নুন আনতে পানতা ফুরায়
সংসার চালাতে তিনি হাঁপিয়ে উঠেছেন। সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
তিনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সুবিধাভোগীর কোন সহায়তা পেলে উপকৃত হবেন এবং
সংসারের চাকা সচল রাখতে সহযোগীতা কামনা করেন।


এই বিভাগের আরো খবর