
জিয়া সাঈদ
ছেঁড়া পালের মতো মা’র আঁচল ওড়ে
যেতে যেতে ঘুরে ঘুরে দেখি
বাড়ির শেষে বিচল ঝাউয়ের নিচে
আরেকটা ঝাউ হয়ে মা দাঁড়িয়ে আছে
নায়রের নাও থেকে দুটি ভেজা চোখ
যেভাবে ফেলে যাওয়া চেনা ঘাট –
ঝুঁকে থাকা মায়ামুখ দেখে
সেভাবেই আমি ঘুরে ঘুরে মাকে দেখি
বাঁক পেরিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে
মেঘলা মেঘলা মুখখানি
আরেকবার দেখে নিতে গিয়ে যখন
শূন্যতা নিয়ে ফিরে আসে আমার চোখ
আমাদের আবডাল করা বৃক্ষগুলি
নত হয়ে থাকে স্বেচ্ছা অপরাধ বোধে
টুপটাপ কিছু পাতা ঝরে –
পাতা ঝরে পথে পথে – এপারে ওপারে
আমি ব্যথিত বৃক্ষের কাছে গিয়ে বলি
আমি মথিত নদীর কাছে গিয়ে বলি
কেন বন্ধু দুঃখ নাও মিছে
ওই দূরাগত মেঘ দেখো –
দূরের জ্যোতিস্ক দেখো
তাদের স্নেহে যেভাবে তোমরা প্রসন্ন হয়ে ওঠো
সেভাবেই আমি ভালো আছি –
ভালো থাকি মায়ের মহিমে….