সর্বশেষ :
পাইকগাছায় আমন ধানের ফলন ভাল হলেও ধানের মূল্য কম হওয়ায় কৃষক হতাশ ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয় ভাংচুর করে নথিতে আগুন দিলো বিক্ষুদ্ধ জনতা হাদি হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার শাহবাগ অবরোধ চট্টগ্রামে রাতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, আটক ৮ ছায়ানটের ভেতরে পোড়া বই আর ভাঙা বাদ্যযন্ত্র, বাইরে কড়া পুলিশ পাহারা আজ সন্ধ্যায় দেশে আসবে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ, জানাজা শনিবার জব্দ রুশ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নেতারা লুকানো কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়াচ্ছে ইউক্রেন ইউক্রেনকে ঋণ দিতে ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠক
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

বন্যাকবলিত এলাকায় শিশুর ডায়রিয়া হলে করণীয়

প্রতিনিধি: / ১৯৭ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

স্বাস্থ্য: বন্যা কবলিত এলাকায় শিশুদের ডায়রিয়া খুব পরিচিত অসুখ। সবসময়েই শিশুদের ডায়রিয়ায় অক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বড়দের চেয়ে বেশী। বিশুদ্ধ পানি ও নিরাপদ খাবারের অভাবেই বন্যার্তদের মধ্যে এর প্রবণতা বেশী। শিশুর ডায়রিয়ার বিভিন্ন কারণ আছে। এর মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ভাইরাস জনিত কারণে শতকরা ৮০ ভাগ ডায়রিয়া হয়ে থাকে। রোটা ভাইরাস দিয়েই সবচেয়ে বেশী ডায়রিয়া হয়ে থাকে। তবে এই সময়ে টাইফয়েড, কলেরা, ইকোলাই, এমিবিয়া, শিগেলা ব্যাকটেরিয়া দিয়েও ডায়রিয়া হচ্ছে। শিশুর ডায়রিয়া হলে অনেকে নিজে নিজে বা দোকানদারের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক খাওয়ান। অনেক চিকিৎসকও অনেক সময় এন্টিবায়োটিক দেন। এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারলেও ভাইরাস মারতে পারেনা। এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার হয় এক্ষেত্রে। ডায়রিয়ায় পানিশূন্যতা হয়। এই পানিশূন্যতা পূরণ করার জন্য ঘন ঘন খাবার স্যালাইন, বুকের দুধ ও অন্যান্য তরল খাবার খাওয়াতে হবে। পানিশূন্যতা বেশি হলে এবং মুখে স্যালাইন না খেতে পারলে হাসপাতালে ভর্তি করে শিরাপথে স্যালাইন দিয়ে পানিশূন্যতা পূরণ করতে হবে। এটাই সঠিক চিকিৎসা। পাশাপাশি স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে। জিংক খাওয়ালে পানি শুন্য হওয়ার প্রবনাতা কিছুটা কম হয়। ডায়রিয়া প্রতিরোধে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এর ফলে ডায়রিয়ার প্রকোপ অনেক কমে যাবে। পরিবারের সবাইকে ভালোমতো হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে। বিশেষত খাওয়ার আগে, শিশুকে খাওয়ানোর আগে, পায়খানা ব্যবহার করার পর, শিশুর পায়খানা পরিষ্কার করার পর অবশ্যই হাত ধুতে হবে। রান্না করার আগে অবশ্যই সাবান এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। তবে রোটাভাইরাস ডাইরিয়া প্রতিরোধে এর বিরুদ্ধে ৬ মাস বয়সের আগেই শিশুকে টিকা খাওয়ানো যেতে পারে। যদিও এটা রোটা ভাইরাস ছাড়া অন্যান্য জীবানু ঘটিত ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে পারবে না। সাধারণত টিউবওয়েলের পানি এবং ফোটানো পানি নিরাপদ। এই সময়ে পানি বিশুদ্ধকরন বড়ি ও ফিটকিরি দিয়ে অনেক স্থানে তা বিশুদ্ধ করা হচ্ছে। টিউবওয়েলের কাছে মলমূত্র ত্যাগ করতে দেওয়া যাবে না। পায়খানা অবশ্যই টিউবওয়েল থেকে দূরে ও নিচুতে হতে হবে। সবসময় পরিষ্কার পাত্রে পানি সংগ্রহ করা উচিত। শিশুর নখ নিয়মিত কাটতে হবে। প্রতিদিন পরিষ্কার পানিতে গোসল করালে শিশু অনেক সুস্থ থাকে। জন্মের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। বুকের দুধ খাওয়ালে শিশুর ডায়রিয়া হওয়ার প্রবণতা কমে, কারণ বুকের দুধ নিরাপদ, জীবানুমুক্ত ও বিভিন্ন শিশুরোগ প্রতিরোধকারী। বোতলে দুধ খাওয়ালে শিশুর ডায়রিয়া বেশি হয়। কারণ বোতল সব সময় পরিষ্কার রাখা কখনোই সম্ভব হয় না। আবার কেউ কেউ এটা হজম করতেও পারে না। তবে ছয় মাস বয়স হওয়ার পর থেকে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার শুরু করতে হবে। প্রতিবছর ডায়রিয়ায় অনেক শিশু মারা যায়। বন্যা উপদ্রæত এলাকায় এটা বাড়বে। তাই ডায়রিয়া প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।


এই বিভাগের আরো খবর