সর্বশেষ :
পাইকগাছায় আমন ধানের ফলন ভাল হলেও ধানের মূল্য কম হওয়ায় কৃষক হতাশ ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয় ভাংচুর করে নথিতে আগুন দিলো বিক্ষুদ্ধ জনতা হাদি হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার শাহবাগ অবরোধ চট্টগ্রামে রাতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, আটক ৮ ছায়ানটের ভেতরে পোড়া বই আর ভাঙা বাদ্যযন্ত্র, বাইরে কড়া পুলিশ পাহারা আজ সন্ধ্যায় দেশে আসবে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ, জানাজা শনিবার জব্দ রুশ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নেতারা লুকানো কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়াচ্ছে ইউক্রেন ইউক্রেনকে ঋণ দিতে ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠক
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০৬ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ডায়াবেটিক ফুট সমস্যা প্রতিরোধের উপায়

প্রতিনিধি: / ২১৫ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

স্বাস্থ্য: ডায়বেটিস সম্পর্কে আজ আমাদের মাঝে যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। বয়স্কদের পাশাপাশি সমাজের মধ্যবয়স্ক জনগণের মধ্যে এই রোগের বিস্তার এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি এই সচেতনতা গড়ে ওঠার মূল কারণ। এই রোগের পরবর্তী জটিলতা সম্পরর্কেও আমাদের ধারণা থাকা প্রয়োজন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ধীরে ধীরে তা চোখ, কিডনি, হার্ট, মস্তিস্ক, চামড়া ইত্যাদি নষ্ট করে ফেলে। এমন ই একটি জটিলতা হল ‘ডায়বেটিক ফুট’। দীর্ঘদিন অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস থাকার কারণে রোগীর পায়ে একধরণের আলসার হয়ে থাকে যা ডায়বেটিক ফুট বা ডায়বেটিক ফুট সিন্ড্রোম নামে পরিচিত। সাধারণত, প্রথমে পায়ের আঙ্গুলের মাঝে অথবা পায়ের তালুতে ছোট ক্ষত হিসেবে এটি দেখা যায়। ডায়বেটিক নিউরোপ্যাথির কারণে দেহের ব্যথার অনুভ‚তি অনেকাংশে কমে যায়। সামান্য আঘাতে পা আহত হলেও রোগী বুঝতে পারেন না। পাশাপাশি, অটোনমিক নিউরোপ্যাথির কারণে পা ঘামহীণ ও শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে বিভিন্ন ইনফেকশন সহজেই প্রকট আকার ধারণ করে এবং পরবর্তীতে আলসার সৃষ্টি করে। তাছাড়া, ডায়বেটিসে রক্ত সরবরাহকারী ধমনী সমূহ ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাই পায়ে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ করতে পারেনা। ফলে পায়ের ইশকেমিয়া এবং গ্যাংগ্রিন, আলসারের জটিলতা আরও অনেক বাড়িয়ে দেয়। ইনফেকশন পায়ের আশেপাশের টিস্যু ও হাড়ে ছড়িয়ে পড়লে জীবন রক্ষার্থে তখন একমাত্র অ্যাম্পুটেশন বা পা কেটে ফেলা ছাড়া আর কোন বিকল্প থাকেনা। ডায়বেটিক ফুট প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিনিয়ত রোগীর পায়ের যতœ নিতে হবে। কোন ধরণের ক্ষত দেখার সাথে সাথে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
যেমনঃ
১) পায়ের পর্যাপ্ত বিশ্রাম।
২) ক্ষতস্থানের ড্রেসিং।
৩) পায়ের মড়া চামড়ার সারজিক্যাল অপসারণ।
৪) ভারী কাজ থেকে বিরত থাকা।
৫) চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পেনিসিলিন জাতীয় ওষুধ সেবন।
৬) ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রন।
৭) পায়ের অ্যাঞ্জিওগ্রাম করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহন।
ডায়বেটিক ফুট সহজেই আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। সবার আগে প্রয়োজন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা। আর প্রয়োজন শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত এবং পারিবারিক সচেতনতার।

 


এই বিভাগের আরো খবর