স্পোর্টস: শ্রীলঙ্কার কোচ নাভিদ নেওয়াজ আবারও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। ২০২০ সালে তার হাত ধরেই আকবর আলীরা বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। এবার আরো একটি বিশ্বকাপ সামনে রেখে কাজ শুরু করেছেন তিনি। তবে তার আগে দলকে শক্তিশালী করে তোলার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তিনি। একই সুরে কথা বলেছেন বয়সভিত্তিক গ্রুপের নির্বাচক এহসানুল হক সেজান। বিসিবির এক সাক্ষাৎকারে নাভিদ নেওয়াজ বলেছেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অনেক ক্যাম্প হয়ে থাকে। তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পের মধ্য দিয়েই বেড়ে উঠতে হয়। তাদের মধ্যে অনেক মেধাবী ক্রিকেটার রয়েছে। কিছুদিন হলো এসেছি, ওদের নিয়ে কাজ শুরু করলাম। বিকেএসপিতে আমরা ক্যাম্প করব আগামী তিন সপ্তাহ ধরে। আশা করছি, সেখানে আমরা কিছু ম্যাচ খেলব এবং সেরা খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। এটা একইসঙ্গে চ্যালেঞ্জের এবং পাশাপাশি ছেলেদের জন্য বড় ধরনের সুযোগও যে, এখানে তারা নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে। কয়েক বছর ধরেই তারা ওয়াইসিএল খেলছে এবং সেখানে তারা পারফরম করে আসছে। সুতরাং তাদের পাশাপাশি আমাদের জন্য বড় সুযোগ মেধাবী মুখগুলো বের করে আনার। সেরা খেলোয়াড়দের বেছে নিয়ে আমরা কীভাবে এগোতে পারি সেটা নিয়েই কাজ করব।’ লঙ্কান এই কোচ আরো বলেন, ‘এখনো অনেক সময় রয়েছে। খেলোয়াড়রা যদি নিজেদের মূল জায়গাটা ধরে রেখে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে তাহলে ভালো কিছু পাওয়া যাবে। আর আগামী দুই বছর ধরে আমরাও চেষ্টা করব তাদের সেরা হিসেবে গড়ে তুলতে। শুধু ক্রিকেট নয়, তাদের ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলার বিষয়েও আমরা কাজ করব। দেখা যাক কতটুকু সফল হতে পারি। তাদের নিয়ে তার আগে কোনো কিছু বলা কঠিন। সুতরাং এখনই এই বিষয়ে বলতে চাচ্ছি না। তাদের সক্ষমতার উন্নতি করতে হবে। বিশ্ব ক্রিকেটে প্রতিযোগিতার জন্য যেমন হওয়া দরকার সেভাবে গড়ে তুলতে চাই। এই বিষয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়ে আগামী ১৮ মাস কাজ করে যেতে চাই।’ এহসানুল হক সেজান বলেছেন, ‘যারা বাংলাদেশের দলের ভবিষ্যত ক্রিকেটার হবেন এমন ৩৯ জনকে নিয়ে একটি স্কোয়াড করা হয়েছে। তার মধ্যে নাভিদ নেওয়াজের যোগদান নিয়ে আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। স্কিল, ফিটনেস, ট্যাকটিক্যাল ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এখন কাজ করা হবে। সামনে একটা সিরিজ রয়েছে। কোচ সেই সিরিজের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের যাচাই করে নেবেন।’ বিশ্বকাপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘গেল বিশ্বকাপ আমাদের ভালো হয়নি। সামনের বিশ্বকাপের জন্য আমাদের ভালো একটা দল রয়েছে। যেই কন্ডিশনে খেলা হবে সেখানে পেস বোলারদের আধিক্য থাকতে পারে। আমাদের তিন জন পেসার ১৪০-এর ওপরে বল করছে, বিষয়টি ইতিবাচক।’