সর্বশেষ :
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

আধিপত্য ধরে রাখার অভিযান ফ্রান্সের

প্রতিনিধি: / ২১৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪

স্পোর্টস: একটা সময়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে একক আধিপত্য ছিল নেদারল্যান্ডসের। সেসব এখন অনেক দূরের অতীত। গত কয়েক বছর ধরে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে দাপট দেখা গেছে ফরাসিদের। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তাদের আরেকটি লড়াই সামনে রেখে তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সাফল্যের ধারা ধরে রাখতে পারবে দিদিয়ে দেশমের দল নাকি অতীতকে ফিরিয়ে আনবে ডাচরা। আগামী শুক্রবার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডস। লাইপজিগের রেড বুল অ্যারেনায় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত একটায়। চলতি আসরে দুই দলেরই দ্বিতীয় ম্যাচ এটি। এবারের লড়াইয়ে হয়তো মিলে যাবে ইউরোর ‘ডি’ গ্রæপের সেরাও। দলের সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপেকে ছাড়াই হয়তো এই ম্যাচ খেলতে হবে ফ্রান্সকে। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচের শেষ দিকে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে নাক ভেঙে গেছে এই ফরোয়ার্ডের। যখন মাঠে ফিরবেন, তাকে খেলতে হবে মাস্ক পরে। তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তার খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ। ডাচদের জন্য যা হবে বড় স্বস্তির। ইউরোর বাছাইপর্বেও একই গ্রæপে ছিল ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডস। যেখানে দুই ম্যাচেই জেতে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ীরা। এমবাপে গোল করেন ৪টি, প্রতি ম্যাচে ২টি করে। ডাচদের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে তার গোল ৫টি। ফ্রান্সের হয়ে তার ৪৭ গোলের প্রথমটিও ছিল ডাচদের বিপক্ষেই, ২০১৭ সালে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এমবাপের ৪৭ গোলের ১২টি দুই বিশ্বকাপে। তবে বিস্ময়কর হলেও সত্যি, ইউরোর মূল পর্বে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে গোলের দেখা পাননি তিনি। ২০২১ সালে হওয়া গত আসরে ৪ ম্যাচে ২টি অ্যাসিস্ট করলেও তিনি জালের দেখা পাননি। শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটেও তার শট জাল খুঁজে পায়নি, ঠেকিয়ে দেন সুইস গোলরক্ষক। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে এমবাপের বদলি নেমেছিলেন ফ্রান্সের রেকর্ড গোলদাতা অলিভিয়ে জিরু। সেদিন সুবর্ণ একটি সুযোগ হারান তিনি। এটি তার সপ্তম বড় টুর্নামেন্ট। আসর শেষে জাতীয় দলকে বিদায়ের ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছেন ৩৭ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। এমবাপেকে নিয়ে এবং তাকে ছাড়া ফ্রান্স দলের শক্তি-সামর্থ্য ভালো করেই জানা আছে নেদারল্যান্ডসের। বিশ্বকাপজয়ী তারকা শুক্রবার না খেলতে পারলে ডাচদের জন্য তা হবে ইতিবাচক দিক। রোনাল্ড কুমানের দলও আসর শুরু করেছে জয় দিয়ে। পোল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতলেও অনেক সুযোগ নষ্ট করে তারা। ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল-মুখে তাই আরও ধারাল হতে হবে তাদের। ফ্রান্সের বিপক্ষে মুখোমুখি প্রথম চার ম্যাচেই জিতেছিল নেদারল্যান্ডস। তবে দুই দলের সবশেষ আট ম্যাচে ডাচদের জয় ¯্রফে একটি, বাকি সাতটি জিতেছে ফরাসিরা। এবার কার মুখে থাকবে জয়ের হাসি?-উত্তর মিলবে শুক্রবার।


এই বিভাগের আরো খবর