এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে শফিকুল ইসলাম (৩৮) নামের এক আনসার সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর জখমীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তারিত করা হয়।
এ ঘটনায় রবিবার গুরুতর জখমী ওই আনসার সদস্যর বড় ভাই রফিকুল ইসলাম রুমি বাদি হয়ে মোঃ রশিদ হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে (যার নম্বর ১৫, তারিখ ২১/১২/২০২৫)।
মামলার সূত্রে যানা গেছে, উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের বলইবুনিয়া গ্রামের মুনসুর আলী মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৮) নামের এক আনসার সদস্যকে ঘটনার দিন শনিবার বিকেলে আমতলা বাজার নামক স্থানে বসে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রতার জের ধরে একই গ্রামের মোশারেফ হাওলাদারের ছেলে মোঃ রশিদ হাওলাদারের নেতৃত্বে কবির খান সহ ৪/৫ জন সংঘবদ্ধ দল পরিকল্পিতভাবে অর্তকিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে ও এলোপাতারি মারপিঠকরে আনসার সদস্য শফিকুল ইসলামকে গুরুতর রক্তাক্ত যখম করে ফেলে রেখে যায়। এ সময় তার ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন আহতকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে তার অবস্থা অবনোতি হলে ওই রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক যখমীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানন্তর করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনসার সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে কর্মরত। ৩দিন হয়েছে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছি, আমতলা বাজারের রশিদ হাওলাদার ও তার লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার ওপরে অন্যায়ভাবে হামলা করেছে। আমি একজন সরকারী কর্মচারী হিসেবে প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও ন্যায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে মোঃ রশিদ হাওলাদার বলেন, তিনি কাউকে মারপিট করেনি। স্থানীয় পর্যায়ে টাকা পয়সা নিয়ে শফিকুল ইসলামের সাথে কবির খানের কথা কাটাকাটি এক পর্যায় হাতাহাতি হলে তিনি উভয়কে সরিয়ে দিয়েছেন।
এ সম্পর্কে মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, আনসার সদস্যর ওপরে হামলার বিষয়টি জমিজমার সংক্রান্ত স্থানীয় বিরোধ। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।##