ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে এক যুগের অবিস্মরণীয় নায়ক ধর্মেন্দ্র সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ৮৯ বছর বয়সে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে গত অক্টোবরের শেষের দিকে ভর্তি ছিলেন, তবে চিকিৎসার পরে মাত্র ১২ দিন আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন।
প্রযোজক পরিচালক করণ জোহর ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর দিয়ে লিখেছেন, “একটি যুগের অবসান…। তিনি ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি। মানুষ হিসেবেও তিনি ছিলেন সেরা। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সবার প্রিয় মানুষ ছিলেন তিনি। সবার প্রতি তাঁর ছিল অপরিসীম ভালোবাসা।”
পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় জন্ম নেওয়া ধর্মেন্দ্র ১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি অ্যাকশান হিরো থেকে অ্যাকশান স্টার হয়ে দর্শকের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নেন। শোলের ‘বীৰু’, ফুল অর পাথর, চুপকে চুপকে, সীতা অর গীতা, ধর্মবীর ও প্রতিজ্ঞা—এই সব ছবি আজও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনে সতেজ।
পর্দার বাইরে ধর্মেন্দ্র ছিলেন বিনয়ী, মেধাবী এবং ভক্তদের প্রতি আন্তরিক। ১৯৯৭ সালে ফিল্মফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১২ সালে পদ্ম ভূষণ সম্মানে ভূষিত হন। ২০২৪ সালে শাহিদ কাপুর ও কৃতি স্যাননের সঙ্গে ‘তেরি বাতোং মেইন আইসা উলঝা জিয়া’ ছবিতে তিনি শাহিদের দাদার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এছাড়া ‘রকি অর রানী কী প্রেম কাহানি’ ছবিতেও সমাদৃত হয়েছেন। তার শেষ ছবি হবে ‘ইক্কিস’, যেখানে তিনি আগস্ত্য নান্দার দাদার চরিত্রে থাকবেন।
ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মেন্দ্রের স্ত্রী ছিলেন হেমা মালিনী, প্রাক্তন স্ত্রী প্রকাশ কউর, সন্তানরা হলেন সানি দেওল, ববি দেওল, এষা ও অহানা দেওল। ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুতে বলিউড সহ সমগ্র চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।