শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০০ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

পাইকগাছায় হলুদের বাম্পার ফলন 

প্রতিনিধি: / ১ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা): অতি বৃস্টি ও নানা  প্রতিকুলতা কাটিয়ে পাইকগাছায় হলুদের আবাদ ভালো হয়েছে। হলুদ চাষিরা ক্ষেতে সার কীটনাশক ব্যবহার ও পরিচর্যা করায় হলুদের আশানারুপ ফলন হবে বলে কৃষকরা ধারণা করছে। হলুদ চাষে খরচ কম লাগে এবং পরিচর্যাও তুলনামূলকভাবে সহজ। ভালো ফলনের কারণে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। 

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৩০ হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ হচ্ছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়ুলীতে হলুদ চাষের উপযুক্ত জমি রয়েছে। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে উঁচু জমি ও হালকা ছায়াযুক্ত জমিতে হলুদ আবাদ করা হয়েছে। উঁচু জমি ও হালকা ছায়াযুক্ত জায়গায় হলুদ চাষ ভাল হয়। বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত হলুদের বীজ বপন করা হয়। হলুদের সাথে সাথী ফসল হিসাবে ওলকচু ও আলুর বীজ রোপন করা যায়।

উপজেলার  হিতামপুর, মেলেকপুরাইকাটী, তোকিয়া, গোপালপুর, মঠবাটী ও গদাইপুর, কপিলমুনি, সলুয়া, হরিঢালী. রাড়ুলী গ্রামে হলুদের আবাদ হয়েছে। হলুদ চাষ করার জন্য জমি উত্তমরূপে চাষ করতে হয়। এরপর মই দিয়ে মাটি সমান করে দুই পাশের মাটি উঁচু করে হয়। এই উঁচু মাটির মধ্যে হলুদের বীজ রোপন করা হয়। উঁচু মাটির পাশে হালকা নালামত তৈরী হয়। বৃষ্টি হলে ওই নালা দিয়ে পানি বের হয়ে যায়। এতে হলুদের বীজ নষ্ট হয় না। উপজেলার হিতামপুর গ্রামের হলুদ চাষী সবুর হোসেন জানান, প্রতি বছর হলুদ চাষ করেন। এ বছরও প্রায় দুই বিঘা জমিতে হলুদের বীজ রোপন করেছেন। তবে এ বছর অতি বৃস্টির পরেও হলুদের আবাদ ভালো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান, হলুদ একটি লাভ জনক ফসল। হলুদের সাথে সাথী ফসল হিসাবে ওলকচু ও আলুর বীজ রোপন করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। হলুদ চাষীদের কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বারি হলুদ-৩, বারি হলুদ-৪, বারি হলুদ-৫ জাতের হলুদ চাষ করে কৃষকরা আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন।


এই বিভাগের আরো খবর