সর্বশেষ :
নেতানিয়াহুকে ধরতে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি টর্নেডোর আঘাতে ব্রাজিলে ৫ জনের মৃত্যু, আহত ১৩০ সেনাবাহিনীর সদস্য সরিয়ে নেওয়ার খবর গুজব, আগের মতোই মাঠে থাকছেন তারা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরবর্তী সরকার নতুন বেতন কাঠামো ও আইএমএফ ঋণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে : অর্থ উপদেষ্টা দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি প্রাথমিক শিক্ষকদের সিইসি গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধনের আশ্বাস দিলেন বাগেরহাটে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শিক্ষা উপকরন বিতরণ মোরেলগঞ্জে মক্তব শিক্ষকের মারপিটে ছাত্রীর প্রানহানির অভিযোগ, ৯ মাস পরে মামলা দায়ের পাইকগাছায় ঝড়ো বাতাসে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের ধান মাটিতে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে পাইকগাছায় চলছে সড়ক নির্মাণে কাজ
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি প্রাথমিক শিক্ষকদের

প্রতিনিধি: / ১৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫

দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। শনিবার শাহবাগে পুলিশের লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও জলকামান নিক্ষেপে বহু শিক্ষক আহত হওয়ার পর রোববার (৯ নভেম্বর) থেকে তারা রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান ও সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করছেন।

শিক্ষক সংগঠনগুলো জানিয়েছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান ও কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। সকাল থেকে শহীদ মিনার এলাকায় শত শত শিক্ষক দলবদ্ধভাবে অবস্থান করছেন। হাতে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারে লেখা—“আমাদের দাবি, ন্যায্য দাবি”, “১০ম গ্রেড চাই”, “শিক্ষকের সম্মান রক্ষা করো”। পুলিশি হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালানো গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, “আমাদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ অমানবিক। আমরা এই ঘটনার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার ওপর বর্তাই এবং তাদের পদত্যাগ দাবি করছি। দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি চলছে, শহীদ মিনারে অবস্থান অব্যাহত থাকবে।”

শনিবার শাহবাগে ‘কলম বিসর্জন’ কর্মসূচির সময় পুলিশি অভিযানে শতাধিক শিক্ষক আহত হন। সংঘর্ষে কুমিল্লা, জয়পুরহাট, ধামরাই ও পটুয়াখালী জেলার কয়েকজন শিক্ষক গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, পুলিশ আটক করেছে পাঁচ শিক্ষককে, তাদের মধ্যে আহ্বায়ক মু. মাহবুবুর রহমান, আব্দুল কাদের, শরিফুল ইসলাম, লিটন মিয়া ও মো. সোহেল রয়েছেন।

দেশজুড়ে প্রায় ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সাড়ে তিন লাখ সহকারী শিক্ষক বর্তমানে ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। তারা এই গ্রেড উন্নীত করে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছেন। এছাড়া তারা শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি ও ১০ এবং ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি তুলেছেন।

শিক্ষক নেতা মো. মহিব উল্লাহ বলেন, “শনিবারের হামলায় ১০৯ জন শিক্ষক আহত হয়েছেন, তবুও আমরা আন্দোলন থেকে পিছু হটবো না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শহীদ মিনারে অবস্থান ও দেশের সব বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি চলবে।”

সংগঠনের নেতারা জানান, এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন মো. আবুল কাসেম, খায়রুন নাহার লিপি, মো. শামছুদ্দিন মাসুদ, মু. মাহবুবুর রহমান ও মোহাম্মদ আনোয়ার উল্যা। আহতদের মধ্যে খায়রুন নাহার লিপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আন্দোলনে সংহতি জানাতে যোগ দিয়েছেন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরাও।

শিক্ষকরা বলছেন, সরকারের কাছে তাদের দাবি নতুন কিছু নয়, বরং বহুদিনের ন্যায্য প্রাপ্য। যতদিন না তাদের দাবির সুরাহা হবে, ততদিন শহীদ মিনারের অবস্থান ও দেশের বিদ্যালয়গুলোর কর্মবিরতি চলবে।


এই বিভাগের আরো খবর