 
						বিনোদন: জনপ্রিয় অভিনেতা হাসান মাসুদ বর্তমানে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত সোমবার রাতে হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা ও খিঁচুনি দেখা দিলে তাঁকে দ্রুত মহাখালীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয় সিএমএইচে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর ইস্কেমিক স্ট্রোক ও মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।অভিনেতার স্ত্রী সানজিদা শিমুল জানিয়েছেন, হাসান মাসুদের শারীরিক অবস্থা এখন আগের তুলনায় কিছুটা স্থিতিশীল হলেও চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে আরও অন্তত এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে। তিনি বলেন, “এখনই বাসায় ফেরার মতো অবস্থায় নেই। চিকিৎসকেরা আপাতত হাসপাতালেই রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রক্তসহ কয়েকটি বিষয়ে সামান্য জটিলতা ধরা পড়েছে, সেগুলোর চিকিৎসা চলছে।”সিএমএইচের চিকিৎসকরা জানান, বর্তমানে তিনি নিউরোলজি, কার্ডিওলজি ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের বিশেষজ্ঞদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ছাড়াও ওষুধ ও ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে।দীর্ঘদিন ধরে নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের ভালোবাসা অর্জন করেছেন হাসান মাসুদ। সম্প্রতি নতুন ধারাবাহিক ‘তেল ছাড়া পরোটা’-এর শুটিং শুরু করেছিলেন তিনি, তবে হঠাৎ অসুস্থতার কারণে সব কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। সহকর্মী ও ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন।অভিনয়ের বাইরেও ছিল তাঁর বহুমুখী ক্যারিয়ার। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে সাত বছর পর ক্যাপ্টেন পদে অবসর নেন। এরপর ক্রীড়া সাংবাদিকতায় যুক্ত হন এবং ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিবিসি বাংলার সঙ্গে কাজ করেন। পরবর্তীতে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন তিনি।একসময় নিয়মিত অভিনয় করলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছুটা আড়ালে ছিলেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অভিনয় থেকে সরে এসে নতুন কোনো পেশায় যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। তাঁর ভাষায়, “আমি এখন একটা জব খুঁজছি। যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন-সাংবাদিকতা, প্রশাসন কিংবা অন্যকিছু। একটা সুযোগ পেলেই চাকরিতে ঢ়ুকে যাব। অভিনয় থেকে একেবারেই হারিয়ে যাব।”বাংলা নাটকে হাসান মাসুদের অবদান উল্লেখযোগ্য। ‘হাউসফুল’, ‘ট্যাঙ্ িড্রাইভার’, ‘খুনসুটি’, ‘এফডিসি’, ‘আমাদের সংসার’ ও ‘গণি সাহেবের শেষ কিছুদিন’-এই নাটকগুলোতে তাঁর অভিনয় আজও দর্শকের মনে অমলিন।অভিনেতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে শোবিজ অঙ্গনে উদ্বেগ থাকলেও পরিবার জানিয়েছে, ধীরে ধীরে উন্নতির পথে তিনি। সবাই তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন।