খেলাধুলা:টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে তখন হাসফাস করছিল। উইকেটে রান হবে ভেবে তারা ব্যাটিং নিয়েছিল। অথচ রান তুলতে পারছিল না। ১৭ ওভার শেষে রান কেবল ১১৪। শেই হোপ ক্রিজে তখন থিতু হয়ে গেছেন। ২১ বলে করেছেন ৩৩ রান। অন্য প্রান্তে রোভমান পাওয়েল ১৭ বলে মাত্র ৮। বাংলাদেশ তখনও ধারনা করতে পারেনি শেষ ৩ ওভারে দুই ব্যাটসম্যান কী করতে পারেন। নিজেদের ওপর বিশ্বাস রেখে হোপ ও পাওয়েল সময় নিলেন। তাতেই কাজের কাজ হলো। শেষ ৩ ওভারে ৫১ রান তুলে নেন দুজন। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন। তাসকিনের ১৮তম ওভারে ১৫ রান। মোস্তাফিজের ১৯তম ওভারে ১৪ ও তানজিমের শেষ ওভারে ২২ তুলে দলের রান নিয়ে যান ১৬৫ তে। ওই রান তাড়া করতে নেমে ১৬ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয় বাংলাদেশকে। ম্যাচ হারের জন্য বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস নিজেদের শেষের বোলিংকেই দুষলেন, ‘‘প্রথম ১০ ওভারে তারা সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছে। উইকেট ছিল ধীরগতির এবং আমরা যদি শুরুর দিকে উইকেট নিতাম, তাহলে তারা চাপে থাকত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের স্লগ ওভারগুলো আরও ভালোভাবে চালানোর প্রয়োজন ছিল এবং পরের খেলায় আমরা এটাই মূল বিষয়ের উপর মনোযোগ দেব। শেষ ৩ ওভার বাদে আমরা পুরো ম্যাচে ভালো বোলিং করেছি। সঙ্গে আমাদের ক্যাচও ভালোভাবে নিতে হবে। স্লগ ওভারে যারাই সামনে করবে তাদেরকে আরও দায়িত্ব নিতে হবে।’’ নিজেদের ব্যাটিং নিয়েও লিটন খুশি নন বিশেষ করে শামিম হোসেনের দায়িত্বজ্ঞানহীন নিবেদনে, ‘‘শামীম যেভাবে ব্যাটিং করেছে তা কিছুটা হতাশাজনক ছিল। তুমি চাইলেই এসে ক্রিজে ব্যাটিং উপভোগ করতে পারবে না। দায়িত্ব নিতে হবে। এছাড়া ব্যাটিংয়ে আমরা পাওয়ার প্লেতে একাধিক উইকেট হারিয়েছি যা আমাদের পক্ষে যায়নি।’’