টানা তৃতীয়বারের মত কী তাহলে বিশ্বকাপে খেলা হবে না ইতালির? যদিও এখনও নিশ্চিত হয়নি বিষয়টা। আরও সুযোগ সামনে রয়েছে তাদের। তবে, নিজেদের বিশ্বকাপ নিশ্চিত না হলেও ইতালিয়ানরা গত মঙ্গলবার রাতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত করে ফেলেছে ইসরায়েলের, ৩-০ গোলের জয় দিয়ে। এই জয়ে নিজেদের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা এখনও টিকিয়ে রেখেছে আজ্জুরিরা। প্রায় ২৫ হাজার আসনবিশিষ্ট উদিনের স্টাদিও ফ্রিউলিতে মাত্র ৯ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। মাতেও রেতেগুই ছিলেন ম্যাচের নায়ক, যিনি করেন জোড়া গোল-প্রথমটি প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে এবং দ্বিতীয়টি ৭৪তম মিনিটে এক দারুণ কার্লিং শটে। জিয়ানলুকা মানচিনি ইনজুরি টাইমে হেডে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন। প্রথমার্ধে কিছুটা এগিয়ে ছিল ইসরায়েলই। তাই বারিবোর পাসে ম্যানর সলোমন একটি জোরালো শট নেন, যা ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা অবিশ্বাস্য রিফ্লেঙ্ েফিরিয়ে দেন। তারপর অ্যানান খালাইলির কাট-ব্যাকে অস্কার গ্লুখের শট সামান্য বাইরে চলে যায়। তবে বিরতির ঠিক আগে মাতান বালতাঙ্ার ফাউলে রেতেগুই পেনাল্টি পান এবং নিখুঁতভাবে বল পাঠান জালের কোণে-ইতালি ১-০। দ্বিতীয়ার্ধে আবারও দোন্নারুম্মা সলোমনের শট ঠেকিয়ে অসাধারণ সেভ করেন। ৭৪তম মিনিটে এলি দাসার ভুল পাস থেকে বল কেড়ে নিয়ে রেতেগুই দারুণ কার্ল শটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান। শেষে ফেডেরিকো দিমারকোর ক্রসে মানচিনি হেডে গোল করে ৩-০ তে জয়ের পূর্ণতা দেন। উদিনের পুরো এলাকা ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছিল, দর্শকদের আগে থেকেই প্রবেশের পরামর্শ দেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা চেকের কারণে। ইসরায়েলকে যুদ্ধের কারণে ইউরোপীয় ফুটবলে স্থগিত করার বিষয়ে উয়েফার বিবেচনা এবং স্থানীয় মেয়রের আপত্তির পরও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। কোচ জেনারো গাত্তুসো বলেন, ‘এই ম্যাচ খেলা সহজ ছিল না। আমরা সবসময় জানতাম পরিবেশটা উৎসবমুখর নয়। পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই, তারা অসাধারণ কাজ করেছেন।’ ইতালি এখনো ‘আই’ গ্রুপ থেকে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার আশা টিকিয়ে রেখেছে। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৫। তারা রয়েছে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে। অন্যদিকে নরওয়ে ৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে শীর্ষে। ৭ ম্যাচে ইসরায়েল ৯ পয়েন্ট অর্জন করলেও তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। ইতালির বিশ্বকাপ ভাগ্য নির্ভর করছে নভেম্বরে নরওয়ের বিপক্ষে তাদের ফলাফলের উপর। আগে মলদোভা সফরে খেলবে গাত্তুসোর দল, এরপর ১৬ নভেম্বর মিলানে মুখোমুখি হবে গ্রুপ লিডার নরওয়ের। ইতালির সুযোগ বাঁচাতে হলে এস্তোনিয়াকে অবশ্যই নরওয়ের কাছ থেকে পয়েন্ট নিতে হবে।