আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, “উপদেষ্টাদের কারো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই। তবে অনিয়ম, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংস্কৃতি থেকে এই জাতিরই এখন সেফ এক্সিট দরকার।”
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ–২০২৫ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আমরা উপদেষ্টারা খুব পরিষ্কারভাবে জানি, আমাদের কারো কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই রাষ্ট্র যে ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে— যেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, দুর্নীতি, ব্যাংক লুট হয়ে সাধারণ মানুষের আমানতও নিরাপদ ছিল না— সেই অসুস্থ ও আত্মধ্বংসী রাষ্ট্র কাঠামো থেকে জাতির সেফ এক্সিট এখন জরুরি।”
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার সেই পথে অনেকটা এগিয়েছে। তবে এই সংস্কার প্রক্রিয়া পূর্ণতা পাবে পরবর্তী সরকারের হাত ধরে।”
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, “রাষ্ট্রপতি কখনোই স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারেননি; সব সময় তা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায়। আমরা চাই, ভবিষ্যতে যেন কেউ অন্যায়-অবিচারের শিকার না হয়, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হোক।”
সভায় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, “পূর্ববর্তী সময়ের মতো গুম, খুন ও নির্যাতনের ঘটনা আর ঘটতে না দিতে হলে ভেঙে পড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠন করতে হবে।”
এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।