নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী জানা আমাদের দীন শেখার অর্ন্তভুক্ত। কারণ নবীজিকে ভালোবাসা ঈমানের অংশ। আর ভালোবাসার জন্য তাকে জানা আমাদের জন্য আবশ্যক। মহান আল্লাহ বলেন,
لَقَدۡ كَانَ لَكُمۡ فِیۡ رَسُوۡلِ اللّٰهِ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ لِّمَنۡ كَانَ یَرۡجُوا اللّٰهَ وَ الۡیَوۡمَ الۡاٰخِرَ وَ ذَكَرَ اللّٰهَ كَثِیۡرًا
অর্থ: অবশ্যই তোমাদের জন্য রসুলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে। (সুরা আহজাব, আয়াত: ২১)
নবীজির জন্মের র্পূবে আরবের অবস্থা ছিল অশান্ত। গোত্রে গোত্রে লড়াই, কন্যাশিশুকে জীবন্ত কবর দেয়া ছিল সাধারণ ব্যাপার। নারীর কোনো অধিকার ছিল না। দাসপ্রথা ছিল ভয়াবহ। কাবা ঘরে ছিল শত শত মূর্তি। সমাজ অপেক্ষা করছিল একজন পথনির্দেশকের।
আরবের অধিবাসীরা ইবরাহিম আ. প্রচারিত দীনের অনুসারী ছিলেন
আরবে বসবাসকারী সাধারণ লোকজন ইসমাইল (আ.)-এর দাওয়াত ও প্রচারের ফলে ইবরাহিম (আ.) প্রচারিত দীনের অনুসারী ছিলেন। এ কারণইে তারা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী এবং একমাত্র আল্লাহরই উপাসনা করতেন। কিন্তু কালপ্রবাহে তারা আল্লাহর একত্ববাদ এবং দীনি শিক্ষার কোনো কোনো অংশ ভুলে যেতে থাকেন। তা সত্ত্বেও মহান আল্লাহর একত্ববাদ এবং দীনে ইবরাহিমের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য বাকি থেকে যায়, যে পর্যন্ত বনু খুযাআহ গোত্রের র্সদার আমর বিন লুহাই জনসমক্ষে এসে উপস্থিত না হন।
কালক্রমে মূর্তিপূজার সূচনা
আমর বিন লুহাই শামদেশে ভ্রমণে যান। সেখানে মূর্তিপূজা দেখেন। শামদেশ নবীদের জন্মভূমি হওয়ায় মূর্তিপূজাকে লুহাই ভালো এবং সত্য বলে ধারণা করেন। তাই দেশে ফেরার সময় তিনি ‘হুবাল’ নামক মূর্তি সঙ্গে নিয়ে আসেন এবং পবিত্র কাবার মধ্যে তা রেখে পূজা শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে মক্কাবাসীদেরকেও পূজা করার জন্য আহ্বান জানান। মক্কাবাসী তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মূর্তি হুবালের পূজা করতে থাকে। কাল-বিলম্ব না করে হেজাযবাসীরাও মক্কাবাসীদের অনুসরণ করতে থাকে। কারণ, তারাও এককালে বায়তুল্লাহর অভিভাবক এবং হারামের বাসিন্দা ছিল। (মুখতাসার সিরাতুর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, পৃ.: ১২)
নবীজির জন্মের পূর্বে কাবায় যেভাবে ঢ়ুকানো হয়েছিল ৩৬০ মূর্তি!
একসময় সমগ্র আরব উপদ্বীপ মূর্তিতে ছেয়ে যায়। এমনকি শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক গোত্র ও ঘরে ঘরে তা স্থান করে নেয়। তারপর মক্কার মুশরিকরা মসজিদুল হারামে মূর্তি ঢোকায়। মক্কা বিজয়ের পূর্বে মসজিদুল হারামে ৩৬০টি মূর্তি ছিল। মক্কা বিজয়ের পর রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর লাঠি দিয়ে মূর্তিগুলোকে ধ্বংস করেন। কোরআনের আয়াতটি পড়তে থাকেন,
وَقُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوْقًا