শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৮ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

দুদক সংস্কারের প্রস্তাবিত আইন দু-এক মাসের মধ্যেই কার্যকর হবে: আইন উপদেষ্টা

প্রতিনিধি: / ৫৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরও স্বাধীন, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে শিগগিরই আইনগত সংস্কার আসছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, দুদক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত আইনগুলো আগামী দুই-এক মাসের মধ্যেই কার্যকর করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ তথ্য জানান।

আইন উপদেষ্টা বলেন, “দুদক সংস্কার কমিশন বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। সেগুলোর ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে। আগামী দু-এক মাসের মধ্যেই আমরা সেগুলো বাস্তবায়নের দিকে যাবো।”

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন খাতে পাঁচটি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে অন্যতম হলো দুদক সংস্কার কমিশন, যা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে আট সদস্য নিয়ে গঠিত হয়। কমিশনটি চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে প্রতিবেদন জমা দেয়।

৪৭ দফা সুপারিশসম্বলিত ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়— ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে সাংবিধানিক অঙ্গীকার, দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন, ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠা, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল এবং কর ফাঁকি ও অর্থপাচার প্রতিরোধের জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে যোগদানের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

গেল ২৬ মে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলো মোটাদাগে এসব সুপারিশের প্রতি নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। বিশেষ করে ন্যায়পালের পদ সৃষ্টি, রাজনৈতিক ও নির্বাচনি অর্থায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, সরকারি সেবার পূর্ণ অটোমেশন, এবং বেসরকারি খাতের ঘুষ লেনদেনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবে দলগুলো একমত পোষণ করেছে।

প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদককে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবও রাজনৈতিক দলগুলোর বেশিরভাগই সমর্থন করেছে। তবে কয়েকটি দল বলেছে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সংসদে আলোচনার মাধ্যমে আসতে পারে।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন আইনগুলো কার্যকর হলে দুর্নীতিবিরোধী লড়াই নতুন মাত্রা পাবে এবং দুদককে সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।


এই বিভাগের আরো খবর