শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৫ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার অধিকার নেই অন্তর্বর্তী সরকারের: ফরহাদ মজহার

প্রতিনিধি: / ৩৯ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫

বাংলাদেশে বর্তমানে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো পরিবেশ নেই বলে মন্তব্য করেছেন কবি, লেখক ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাবকেই তিনি এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার কোনো আইনি বা নৈতিক অধিকার নেই।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে গণশক্তি সভা আয়োজিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে বঞ্চনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণশক্তি সভার সভাপতি সাংবাদিক সাদেক রহমান এবং সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. দেওয়ান সাজ্জাদ।

ফরহাদ মজহার বলেন, ড. ইউনূস শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া সংবিধানের অধীনে একজন উপদেষ্টা মাত্র—তিনি গণঅভ্যুত্থানের নেতা নন, বরং সেই অভ্যুত্থানের একটি ফল। ছাত্ররা ঘোষণাপত্র দিতে চেয়েছিল, কিন্তু সরকার মিথ্যা অজুহাত দিয়ে তা বন্ধ করেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে কি না। আমলা কিনে ভোট পরিচালনার পুরনো কৌশল জনগণ আর মেনে নেবে না।

তিনি আরও বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানের শুরু থেকেই জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে। তরুণরা বুকের রক্ত দিয়ে লড়াই করেছে, ফ্যাসিবাদী সংবিধান বাদ দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য। সেই লক্ষ্য ছিল জিয়াউর রহমানেরও—যেখানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে উঠবে।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বা খালেদা জিয়া কেউই ১৯৭২ সালের সংবিধান ধরে রাখতে চাননি, কিন্তু দলটি কেন তা আঁকড়ে ধরল, সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফেরানোর বদলে নির্বাচনী রাজনীতিতে ঝুঁকে তারা প্রতিবিপ্লব ঘটিয়েছে।

ফরহাদ মজহার আরও বলেন, কেবল একটি নির্বাচন দিয়ে রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন সম্ভব নয়। সেনাবাহিনীর কাজ নির্বাচন পরিচালনা নয়, কিন্তু শেখ হাসিনার সময়ে তাদের নৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেনাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র নাগরিকরা সহ্য করবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এটিএম জিয়াউল হাসান, গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, সাবেক সচিব কাসেম মাসুদ, কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক ও লে. কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজসহ অন্যান্য বক্তারা বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও গণসার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মত প্রকাশ করেন।


এই বিভাগের আরো খবর