এ ঘটনায় হাসপাতালের আউটসোসিং এর চাকুরিচ্যুত (আয়া) শাহিনা বেগম বাদি হয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক, জেলা সিভিল সার্জন সহ দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।আউট সোসিংয়ে সদ্য চাকুরিচ্যুত (আয়া) শাহিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বিগত ৫ বছর ধরে আয়া পদে তিনিসহ আউটসোসিং ৬ জন কর্মচারির হাসপাতালে কর্মরত তাদের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের এক বছরে মজুরি বেতন ভাতা উত্তোলনের ক্ষেত্রে এ হাসপাতালে হিসাব রক্ষক মাতুব্বর মো. রেজোয়ান হোসেনকে চেকের মাধ্যমে উৎকোচ দিতে হয়েছে ৬০ হাজার এবং নগদ ১২ হাজার মোট ৭২ হাজার টাকা। এ রকম ওয়ার্ডবয়, নাইটগার্ড, আয়াসহ ৫ কর্মচারির নিকট থেকে হাতিয়েছে মোটা অংকের টাকা।
মানববন্ধন থেকে এ সময় মাষ্টার মশিউর ইসলাম, আব্দুল হাকিম, সাইফুল ইসলাম, সুখি আক্তার, আবুল কালাম শিকদার, ফারজানা আক্তার স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরও বলেন, উচ্চমান সহকারি মাতুব্বর মোঃ রেজোয়ান হোসেন বিভিন্ন বরাদ্দের ভূয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে টাকা আত্মসাৎকারী আউটসোর্সিং কর্মচারীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ঘুষ নেওয়াসহ নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন ব্যবস্থা হয়নি। তারা এ ঘটনার তদন্তপূর্বক বিচারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালের উচ্চমান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক মাতুব্বর মোঃ রেজোয়ান হোসেন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, তিনি কারও কাছ থেকে টাকা গ্রহন করেননি। তিনি কাউকে চাকুরিচ্যুত ও যোগদান করার অধিকার রাখেননা।
এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আউটসোসিং চাকুরিচ্যুত আয়া শাহিনা আক্তার কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি তিনি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের শুধুমাত্র অবহিত করেছেন। পরবর্তী ব্যবস্থা তাদের নির্দেশনায় হয়েছে। তবে, হিসাব রক্ষক মো. রেজোয়ান মাতুব্বরের মেয়ে কিভাবে এ পদে চাকুরিতে যোগদান করেছেন তিনি অবহিত নন। সাময়িকী ওষুধ সংকট শুধু এ হাসপাতালে নয়। জুলাই-আগষ্টে সব হাসপাতালে কিছুটা সংকট রয়েছে। অচিরেই এর সমাধান হবে।