সর্বশেষ :
ফলোআপ: পাইকগাছায় কোটিপতির ভবন রক্ষায় সড়ক সরলীকরণ না হয়ে হচ্ছে বাঁকা: নকশা পরিবর্তন ও মাদ্রাসা রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন পাইকগাছায় আমন ধানের ফলন ভাল হলেও ধানের মূল্য কম হওয়ায় কৃষক হতাশ ডেইলি স্টার অফিসে হামলা-ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয় ভাংচুর করে নথিতে আগুন দিলো বিক্ষুদ্ধ জনতা হাদি হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার শাহবাগ অবরোধ চট্টগ্রামে রাতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে হামলা, আটক ৮ ছায়ানটের ভেতরে পোড়া বই আর ভাঙা বাদ্যযন্ত্র, বাইরে কড়া পুলিশ পাহারা আজ সন্ধ্যায় দেশে আসবে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ, জানাজা শনিবার জব্দ রুশ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ নেতারা লুকানো কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়াচ্ছে ইউক্রেন
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

মোরেলগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের দুর্বিষহ জীবন যাপন

প্রতিনিধি: / ১৪৮ দেখেছেন:
পাবলিশ: শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

মেহেদী হাসান লিপন,মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) সংবাদদাতা:  বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কুঠিবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জরাজীর্ণ ঘরে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে।
সামান্য বৃষ্টি ও জোয়ারের হাটু পানিতে ৪০টি পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস। যেকোনো সময় ঘটে যেতে
পারে বড় ধেেরনর দুর্ঘটনা। আশ্রয়ণ বাসিন্দাদের দাবি দুটি ব্যারাকে জরাজীর্ণ ২০টি ঘর সংস্কার করে বসবাসের
উপযোগী করে দেয়ার।
সরেজমিনে জানা গেছে, মোরেলগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরের পানগুছি নদীর তীরবর্তী কুঠিবাড়ীতে ১৯৯৮ সালে
সরকারিভাবে ৪ একর জমির ওপরে নির্মিত হয় আশ্রয়ণ প্রকল্পটি। এ প্রকল্পে ৪টি ব্যারাকে ৪০টি পরিবারের এখানে
বসবাস। ৭/৮টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ ভূমিহীন প্রতিটি পরিবারের জন্য ২০০১ সালে ১০ শতক করে জমির দলিলমূলে
মালিকানা হন তারা। বর্তমানে এ আশ্রয়ন প্রকল্পে দু’টি ব্যারাকের ২০টি ঘর এখন জরাজীর্ণ। প্রতিটি ঘরের
খুঁটি ভেঙে নড়বড়ে অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘরের ছাউনির টিনগুলো অসংখ্য ছিদ্র হয়ে ঝাজড়া হয়ে গেছে। বেড়ার
টিন খুলে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরগুলো পানিতে তলিয়ে যায়, অতিরিক্ত জোয়ারে হাঁটু পানি সৃষ্টি হয়ে
রান্না খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। অভুক্ত থাকতে হয় পরিবার পরিজন নিয়ে। প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়-বন্যা,
জলোচ্ছাসের সময় ঘর ছেড়ে যেতে হয় অন্যত্র। স্যানিটেশন ব্যবস্থা, সুপেয় পানির রয়েছে অভাব। রোগব্যাধি লেগে
থাকে।
আশ্রয়ণের বাসিন্দা বৃদ্ধ নূরজাহান বেগম সহ একাধিক আশ্রয়ণের বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘদিন জরাজীর্ন
অবস্থায় পড়ে আছে।সর্বক্ষন আতঙ্কে থাকতে হয় । প্রধান উপদেষ্টার প্রতি দাবি এ আশ্রয়নের ২০ টি ঘর সংস্কার করে
বসবাসের উপযোগী করে দেওয়ার। কুঠিবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি মো. সেকেন্দার আলী খান বলেন, ৪০ টি ঘর
নির্মাণের পরে ২০১৬ সালে দুটি ব্যরাকের ২০ টি ঘর একবার সরকারি বরাদ্দে সংস্কার করা হয়েছিলো। বাকি ২০ টি
কখনও সংস্কার হয়নি। বর্তমানে এ ঘরগুলোতে বসবাস করা যাচ্ছে না। বর্তমানে আশ্রয়ন প্রকল্পটি ব্যবহারের
অনুপযোগী। জরুরীভাবে ২০ টি ঘর দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.হাবিবুল্লাহ বলেন, পৌর শহরের কুঠিবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের
জরাজীর্ণ ঘরগুলোর বিষয়ে খোঁজ খবর জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংষ্কার করা
হবে বলে আশ্বাস দেন এ কর্মকর্তা।


এই বিভাগের আরো খবর