বক্স অফিসে চলছে রীতিমতো মহাযুদ্ধ। একদিকে সুপারহিরো ‘সুপারম্যান’, অন্যদিকে বিশালাকার ডাইনোসর নিয়ে ফিরেছে ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’। বিশ্বব্যাপী রাজস্বে দাপট দেখাচ্ছে দুই ছবিই। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে আছে ডাইনোসরের দল। জেমস গান পরিচালিত ‘সুপারম্যান’ মুক্তির প্রথমেই আয় করেছে ২১৭ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ১২২ মিলিয়ন এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। আর ৯৫ মিলিয়ন ডলার অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাজার থেকে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রত্যাশার তুলনায় উপস্থিতি কিছুটা কম। বিশ্লেষকদের মতে, সুপারম্যানের ‘ট্রুথ, জাস্টিস অ্যান্ড দ্য আমেরিকান ওয়ে’ ধাঁচটি কিছু দেশে এখনও জনপ্রিয় না হওয়াই এর কারণ। এই ছবিতে সুপারম্যান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডেভিড করেনসওয়েট। লোইস লেন হিসেবে দেখা গেছে র্যাচেল ব্রসনাহানকে। খলনায়ক লেঙ্ লুথারের ভূমিকায় আছেন নিকোলাস হোল্ট। গল্পে দেখা যায়, এক প্রযুক্তি বিলিয়নিয়ার সুপারম্যানকে সমাজের চোখে দোষী বানাতে চাইছে। সুপারম্যান চেষ্টা করছে প্রমাণ করতে যে সে সত্যিকারের নায়ক, মানুষ ও মানবতার পক্ষেই দাঁড়ায়। অন্যদিকে দ্বিতীয় সপ্তাহে এসেও দুর্দান্তভাবে চলছে ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’। সারা বিশ্বে ছবিটি ইতিমধ্যে ৫২৯ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। শুধু দ্বিতীয় সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজার থেকেই এসেছে ৬৮ মিলিয়ন ডলার। চীনে ছবিটি দারুণ শুরু করেছিল ২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে। সেখানে ‘সুপারম্যান’ আয় করেছে মাত্র ৬.৬ মিলিয়ন ডলার। নতুন এই জুরাসিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন স্কারলেট জোহানসন, জোনাথন বেইলি এবং মাহারশালা আলি। তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্র্যাড পিটের রেসিং ড্রামা ‘এফ১: দ্য মুভি’। ছবিটি এরই মধ্যে ৩৯৩ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে। এটি এখন পর্যন্ত অ্যাপল স্টুডিওর সর্বোচ্চ আয়ের সিনেমা। ডিজনির লাইভ-অ্যাকশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ও রীতিমতো চমক দেখাচ্ছে। ছবিটি এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৯৯৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা এক বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকের একেবারে কাছাকাছি। এই সাফল্য ডিজনির জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। কারণ পিঙ্ারের ‘এলিও’ বিশ্বব্যাপী মাত্র ১১৭ মিলিয়ন ডলার আয় করে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। সব মিলিয়ে, গ্রীষ্মের বঙ্ অফিসে চলছে চরম প্রতিযোগিতা। সুপারম্যানের পক্ষে রয়েছে পুনর্গঠিত ডিসি ইউনিভার্সের ভবিষ্যৎ আর ডাইনোসরের পেছনে রয়েছে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা। শেষ পর্যন্ত কে জিতবে এই লড়াই, তা বলবে সময়ই।