মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

মাসসেরা পারফরম্যান্সে ক্রিকেট দুনিয়ায় আলোচনায় মার্করাম ও ম্যাথুস

প্রতিনিধি: / ৩ দেখেছেন:
পাবলিশ: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

স্পোর্টস: দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন এক মাইলফলক রচনা হয়েছে জুন মাসে। লর্ডসের ঐতিহাসিক মঞ্চে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তুলেছে প্রোটিয়ারা। সেই ঐতিহাসিক জয়ের অন্যতম নায়ক এইডেন মার্করাম। যদিও ফাইনালের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফিরেছিলেন তিনি, তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তার ১৩৬ রানের অসাধারণ ইনিংসেই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮২ রানের লক্ষ্য স্পর্শ করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতে দুটি উইকেটও শিকার করেছিলেন এই ডানহাতি ওপেনার।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ফাইনালে ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্সের সুবাদেই আইসিসির জুন মাসের সেরা পুরুষ খেলোয়াড় হয়েছেন মার্করাম। বিশেষজ্ঞ বিচারক এবং সমর্থকদের ভোটে তিনি পেছনে ফেলেছেন সতীর্থ কাগিসো রাবাদা এবং শ্রীলঙ্কার পাতুম নিশাঙ্কাকে। ৩০ বছর বয়সী মার্করামের জন্য এটি তার প্রথম মাসসেরা খেতাব। তিন বছর দুই মাস পর দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো ক্রিকেটারের হাতে গেল মাসসেরা পুরস্কার। এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে কেশব মহারাজ এবং একই বছরের জানুয়ারিতে কিগান পিটারসেন এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।
মাসসেরা নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় আইসিসির ওয়েবসাইটে মার্করাম বলেছেন, “এই পুরস্কার জেতা সত্যিই সম্মানের। তবে এর চেয়েও বড় আনন্দের বিষয় হলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাতে অবদান রাখতে পারা। লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ফাইনাল জয়ের ঐতিহাসিক ঘটনাটা আমরা সারা জীবন মনে রাখব। এই জয় এসেছে দলের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। কেজি (কাগিসো রাবাদা) এবং টেম্বসও (টেম্বা বাভুমা) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এই জয়ে।”
অন্যদিকে, নারীদের ক্রিকেটে জুন মাসের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথুস। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তিন ম্যাচে তিনি করেন ১০৪ রান এবং শিকার করেন ৪টি উইকেট। এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ছিলেন দারুণ ফর্মে, করেছেন ১৪৭ রান এবং নিয়েছেন ২টি উইকেট।
এই অর্জনের মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো মাসসেরা হয়েছেন ম্যাথুস, যা তাকে পৌঁছে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি গার্ডনারের পাশে। নারী ও পুরুষ মিলিয়ে সর্বাধিক চারবার করে মাসসেরা হয়েছেন এই দুই ক্রিকেটার। এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে এবং ২০২৪ সালের এপ্রিলে মাসসেরা হয়েছিলেন ম্যাথুস।
এই অর্জন নারীদের ক্রিকেটের প্রতিযোগিতা এবং ধারাবাহিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। গার্ডনার এবং ম্যাথুসের পাশাপাশি তিনবার করে মাসসেরা হয়েছেন শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু, পাকিস্তানের বাবর আজম এবং ভারতের শুবমান গিল।
মার্করাম ও ম্যাথুসের এই সাফল্য প্রমাণ করে, ক্রিকেটের মঞ্চে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি দলীয় সাফল্যের পেছনেও থাকে এই অসাধারণ পারফরমারদের নিরলস শ্রম আর প্রতিশ্রুতি।


এই বিভাগের আরো খবর