বিদেশ : পাকিস্তানে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী প্রায় ২ কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার শিশু স্কুলে না যাওয়ায় দেশটি এক ভয়াবহ শিক্ষা সংকটে রয়েছে। এসব শিশুদের শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা (নন-ফরমাল এডুকেশনু এনএফই) ব্যবস্থা, যা নমনীয় ও সহজলভ্য শিক্ষার সুযোগ করে দেয়। এই তথ্য উঠে এসেছে ‘পাকিস্তানের অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিবেদন ২০২৩ু২৪’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে, যা ইসলামাবাদের আল্লামা ইকবাল ওপেন ইউনিভার্সিটিতে (এআইওইউ) প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই সংখ্যাটি উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে, যার পেছনে কোভিড-১৯ মহামারী এবং সামপ্রতিক বন্যার বড় প্রভাব রয়েছে। গত কয়েক বছরে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে পাকিস্তান ইন্সটিটিউট অব এডুকেশন (পিআইই), দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)-এর যৌথ সহযোগিতায়। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেল শিক্ষা ও পেশাগত প্রশিক্ষণ মন্ত্রী ডা. খালিদ মাকবুল সিদ্দিকী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব নাদিম মাহবুব, এআইওইউ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নাসির মাহমুদ এবং পিআইই-এর মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহিদ সরোয়া। প্রতিবেদনটিতে অ্যাকসেলারেটেড লার্নিং প্রোগ্রাম (এএলপি)-এর সমপ্রসারণের সুপারিশ করা হয়। বিশেষভাবে এএলপি (মিডল-টেক) প্রোগ্রামের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, কারণ এতে ৭০% শিক্ষার্থী থেকে যায় এবং এটি একযোগে একাডেমিক ও কারিগরি জ্ঞান প্রদান করে। এছাড়াও প্রতিবেদনে যুব ও প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষরতার ওপর গুরুত্বারোপ এবং আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করার সুপারিশ করা হয়েছে। ডেটা সংগ্রহ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে মান ও সময়ানুবর্তিতা উন্নত করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং প্রোগ্রামের উন্নয়নের জন্য নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার অব্যাহতভাবে উন্নত করতে হবে। প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, বর্তমানে পাকিস্তানে ৩৫ হাজার ৪২৭টি অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে ১২ লাখ ৯০ হাজার ৯ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে— যা গত বছরের তুলনায় ২০% বেশি। সূত্র : ডন।