চার বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে তারই সৎ বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার সকালে এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান। দণ্ডিত মোতাহারকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এরশাদ আলম জর্জ বলেন, “অর্থদণ্ডের টাকা আদায়ে আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে ভিকটিমকে দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” রায় ঘোষণার আগে মোতাহারকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডিত মোতাহারের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জের কুড়াহার গ্রামে, বাবার নাম রিফাজ। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ভুক্তভোগী তার মা ও সৎ বাবার সঙ্গে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে থাকতেন। আলাদা ব্যবস্থা না থাকায় তারা থাকতেন এক ঘরে। মোতাহার বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ জুন রাতে আসামি ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার বিষয়ে কাউকে জানালে আসামী হত্যার হুমকিও দেয়। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর রাতে মোতাহার ফের নির্যাতন চালালে ভুক্তভোগী পরদিন বিষয়টি তার মাকে জানায়। ঘটনা শুনে তার মা ও সৎ বাবা তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। ভুক্তভোগী তার বাবার কাছে চলে যান। এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৭ মে মোতাহারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করেন এসআই আবুল হাসান। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামির আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গতকাল বুধবার রায় ঘোষণা করা হলো।
https://www.kaabait.com