এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পবিত্র ঈদুল আযাহার বিশেষ দিনেও রোগীদের দুপুরের খাবারের মেনুতে খাশির মাংস সরবারহ কথা থাকলেও রোগীরা পেয়েছেন একটুকরো পোল্ট্রি মুরগির মাংস, মোটা চালের পোলাউ ভাত ও একটি ডিম।
দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার জানেনা এ বিশেষ দিনে দুপুরের খাবারের মেনুতে কি কি খাবার পরিবেশন করা হবে। দুপুরের খাবার নিয়ে রোগীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ প্রকাশ। কর্তৃপক্ষ যেন নির্বিকার।
সরেজমিনে (০৭ জুন শনিবার) মোরেলগঞ্জ ৫০ শয্যা হাসপাতালে বেলা সাড়ে ১২ টায় বিশেষ দিনে পুরুষ ও মহিলা বেডে ভর্তিকৃত রোগীরা পেয়েছেন দুপুরের খাবার ১টি ডিম, এক প্লেট মোটা চালের পোলাউ ভাত, সাথে রয়েছে পোল্টি মুরগীর একটুকরো মাংস। সকালে নাস্তায় দিয়েছে নামে মাত্র দুধ বিহীন সেমাই, ১টি মিষ্টি, ও ১টি পাউরুটি।
বিশেষ এ দিনে খাবারের মেনুতে সরকারিভাবে খাসির মাংস সরবরহের নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হয়নি। সকালের নাস্তায় রোগীদের পুষ্টির জন্য বাধ্যতামূলক ডিম, কলা থাকলেও তাও পড়েছে বাদ।
খাবার পরিবেশনকারী ২ জন বাবুর্চি সোহেল হোসেন বালি ও লিজা আক্তার দুজনেই কর্মস্থালে অনুপস্থিত। সোহেল বালি রয়েছেন পিরোজপুরে তার পরিবর্তে রোগীদের খাবার দিচ্ছেন তার স্ত্রী সারমিন বেগম অপর বাবুর্চি লিজার পরিবর্তে তারই রাখা কর্মচারী রিপা খানম। বাবুর্চি নিজা আক্তার বাগেরহাট শহরে বসবাস করেন। বছরের পর বছর হাসপাতালে না এসে শুধু মাত্র মাসের শেষে কর্মস্থালে এসে স্বাক্ষর করে বেতন তুলে নেন। এমন অভিযোগ রায়েছেন তার বিরুদ্ধে।
ভর্তিকৃত রোগী আয়সা, সুফিয়া বেগম, সুমাইয়া আক্তার , রহিমা বেগম, আব্দুল জব্বর ফকির, কুদ্দুস তালুকদার, নাসির আহম্মেদ, শিক্ষক রবিন্দ্রনাথ হালদার এরা প্রত্যেকেই ৩/৪দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ক্ষোভের সাথে বলেন, বিশেষ এ দিনে বিশেষ খাবার পরিবেশন কথা শুধু কাগজে কলমে। গতকালকেও পোল্ট্রি মুরগী খেয়েছি আজকেও পোল্টি মুরগী টুকরা পেয়েছি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডা: কার্জন দে সরকার বলেন, ঈদে বিশেষ ছুটি থাকার আমি ৩দিনের দায়িত্ব পালন করছি। দুপুরের রোগীদের খাবারের মেনু সর্ম্পকে তিনি অবহিত নন। কি কি খাবার পরিবেশন করা হবে তাকে তা জানানো হয়নি।
এ সম্পর্কে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা (আরএমও) মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নাদিরুজ্জামান আকাশ বলেন, ঈদের বিশেষ দিনে হাসপাতালে খাবার পরিবেশনের ক্ষেত্রে একটি ডিম, পোলাউ ভাত ও মুরগীর মাংস দেয়া হয়েছে। খাসির মাংস দেবার ব্যাপারে তিনি জানেননা। তবে, বিগত বিশেষ এ দিনগুলোতে একই খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। বাজারে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির কারনে এ ভাবে পরিবেশন করা হচ্ছে।
https://www.kaabait.com