• মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ০৭:০১

মোরেলগঞ্জে জি-৯ কলা চাষে সাফল্য

প্রতিনিধি: / ২৩ দেখেছেন:
পাবলিশ: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫

মেহেদী হাসান লিপন,মোরেলগঞ্জ(বাগেরহাট)সংবাদদাতা :  বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জিংক-৯ কলা চাষে সাফল্য ধরা দিল চাষি পারভেজ খানের।
একদিকে কলা ও অপরদিকে কলার চারা বিক্রি করে সফলতার পাশাপাশি চাষ বৃদ্ধিতে
আরো আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। আগ্রহ বাড়ছে এলাকার অন্যান্য চাষিদের ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের আলতিবুরুজ
বাড়িয়া গ্রামে সফল কৃষক পারভেজ খান ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের কৃষি কাজ
করে চলে তার সংসার। এ বছরে তিনি ১০ কাঠা জমিতে নতুন প্রজাতির জি-৯ কলা
চাষ করে ভাল ফলন পেয়ে সাফল্য পেয়েছেন। বিক্রি করে হয়েছেন অধিক লাভবান । তিনি
রংপুর থেকে প্ধসঢ়;্রথমে ২ শতাধিক জি-৯ এ কলা চারা ক্রয় করে আনেন। প্রতি চারার
দাম পরেছে ৬০ টাকা । চারা রোপনের ৭ মাসের মধ্যেই ফলন ও ৯ মাসে কর্তন করে
এখন বাজারে বিক্রি করছেন। প্রতিটি গাছে করে ছড়া ঝুলছে। স্বাভাবিক দেশীয়
কলার চেয়ে ছড়া অনেক লম্বা। এ সুস্বাদু জি-৯ কলা প্রতিটি ছড়ায় ৩শ’ থেকে
৪শ’ কলা হয়েছে। বাজারে এর চাহিদা বেশী, দামও দ্বিগুন। যেখানে দেশী কলা তার
বিক্রি হয়েছে ৫০ হাজার টাকা এবারে তিনি জিংক-৯ বিক্রি করেছে ১ লাখ
টাকা। এ কলা চাষ করতে শ্রমিকসহ ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার টাকা। বিক্রি হয়েছে ১
লক্ষ টাকা । পাশাপাশি কলা চারা বিক্রি করছেন প্রতি পিচ ১০০ টাকা করে।
এ কলা ক্ষেতে পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক দেলোয়ার শিকদার বলেন, এর
পূর্বে কখনও এতা বড় কলার ছড়া কখনও দেখিনি। গাছের প্রতিটি ছড়ায় গাদানো
কলায় ঝুলছে। কলা ফসলে থাকছে কোন রোগ বালাই। এ যেনো এক অপরুপ
দৃশ্য। বেশী আনন্দ লাগছে অন্যান্য এলাকার চাষিরা যখন এসে ভীড় জমাচ্ছে এ দৃশ্য
দেখতে। কিভাবে এতো ভাল ফলন ফলিয়েছেন এ প্রশ্ন চাষিদের। পারভেজ নিজেকে
একজন সফল চাষি হিসেবে মনে করছেন ।
সফল চাষি পারভেজ খান বলেন, এ বছরে নতুন করে জি-৯ কলা চাষ করে ভাল ফলন
পেয়েছি। প্রতিদিন কলা ক্ষেতে দেখতে আসছেন পার্শ্ববর্তী অনেক গ্রামের
চাষিরা। তিনি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রনোদনার আর্থিক সহায়তার
দাবি জানান। এ ভাল ফলন দেখে চাষিরা কলা চারা ক্রয় করে নিচ্ছেন। তিনি ১০ কাটা
জমি থেকে কলা বিক্রি করে ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ ও সংসারের ব্যায় মিটিয়ে
সঞ্চয়ও করতে পারেছেন। আগামীতে এ চাষ আরো বর্ধিত করার ইচ্ছা আছে ।
উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. মশিউর রহমান
বলেন, আলতিবুরুজবাড়িয়া গ্রামের পারভেজ খান এবারে নতুন প্রজাতির জি-৯
কলা চাষ করে বেশ সাড়া জাগিয়েছেন।। প্রতিদিন এ উপজেলাসহ পার্শ্ববতী
উপজেলার অনেক চাষিরা এসে মতামত নিচ্ছেন। স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান, ভাল ফলন
হওয়ার কারনে আগামি বছরে এ কলা চাষাবাদ আরও বৃদ্ধি হবে বলে ধারনা করছেন এ

কর্মকর্তা। এ কলা খুবই সু-স্বাদু, কলায় থাকে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম। যা
হার্টকে ভাল রাখার জন্য অন্যতম উপাদান।


এই বিভাগের আরো খবর
https://www.kaabait.com