বিদেশ : গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। দ্য গাজা জার্নালিস্ট সিন্ডিকেট জানিয়েছে, সর্বশেষ মোয়াতাজ রাজা নামে আরও এক সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হন তিনি। খবর আল জাজিরার। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা শহরের আল-নাফাক স্ট্রিটে তিনি যে বেসামরিক গাড়িতে ছিলেন সেটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। দ্য গাজা জার্নালিস্ট সিন্ডিকেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ২২১ সাংবাদিক নিহত হয়েছে। এর আগে গাজার রাফাহ শহরের কাছে একটি বিতর্কিত নতুন বিতরণকেন্দ্রে ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৪৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জেনেভায় সাংবাদিকদের কাছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের ফিলিস্তিনবিষয়ক প্রধান আজিথ সংঘে বলেন, ঘটনার প্রাথমিক প্রমাণ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিকেই দায়ী করছে। জাতিসংঘসহ মানবিক সংস্থাগুলো এই বিতরণব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেছে। তারা বলছে, এটি আন্তর্জাতিক মানবিক নীতিমালার পরিপন্থি এবং ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের আশঙ্কা তৈরি করছে। ক্ষুধার্ত মানুষ ত্রাণের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের কাছে যেতে বাধ্য হলে তা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন হবে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাগুলো। ইসরায়েল দাবি করে, এই বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে হামাসের হাতে ত্রাণ যাওয়ার ঝুঁকি কমানো যাবে, যদিও বড় পরিসরে ত্রাণ অপব্যবহারের প্রমাণ এখনো তারা উপস্থাপন করতে পারেনি। অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে, ত্রাণের অপব্যবহার রোধে তাদের নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাই যথেষ্ট।
https://www.kaabait.com