পারফরম্যান্স খারাপের অভিযোগে করা হয়েছিল বরখাস্ত, এক মাস পর সেই টি দিলীপকেই পুনরায় ফিল্ডিং কোচ হিসেবে নিয়োগ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। আগামী জুনে ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দলের সঙ্গে থাকবেন এই কোচ। দিলীপকে বাধ্য হয়েই এ পদে নিয়োগ করেছে বিসিসিআাই। কারণ, তাকে বরখাস্ত করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপযুক্ত বিকল্প খুঁজে পায়নি ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। কাউকে কাউকে বলতে শোনা যাচ্ছে, অবসরে যাওয়া রোহিত শর্মার অনুরোধেই নাকি বোর্ড এবং গৌতম গম্ভীর দিলীপকে দলে ফিরিয়েছেন। ২০২৪-২৫ মৌসুমে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় ভারত। পাঁচ ম্যাচের ওই টেস্ট সিরিজে খারাপ পারফরম্যান্সের পর কোচিং স্টাফে বড় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দিলীপ এবং সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সংস্থাটি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস ট্রাস্ট ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছে, ‘দিলীপ একজন ভালো কোচ, যিনি ২০২১ সাল থেকে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে দলকে ভালোভাবে সেবা দিয়েছেন। তিনি এই খেলোয়াড়দের বেশিরভাগকেই খুব কাছ থেকে চেনেন। তাই ইংল্যান্ডের মতো বড় সিরিজের আগে তাকে দলে রাখা দলের জন্য ইতিবাচক হবে।’ সূত্র জানায়, বিদেশি ফিল্ডিং কোচ নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল বিসিসিআই। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তা সম্ভব হয়নি। যে কারণে দিলীপকেই ফের দায়িত্ব দিচ্ছে। বরখাস্ত হওয়ার আগে দিলীপ কিছু জনপ্রিয় উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যেমন- ম্যাচের দিনগুলোতে সেরা ফিল্ডারকে পদক প্রদান এবং কিংবদন্তি ব্যক্তিত্বদের দিয়ে সেই পদক বিতরণ করানো। আগামী ২০ জুন লিডসে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এর আগে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে দুটি চারদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত ‘এ’। আইপিএল চলতি আসরের (যার ফাইনাল ৩ জুন) কারণে বেশ কিছু ক্রিকেটার ৩০ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া প্রথম বেসরকারি টেস্ট খেলতে পারবেন না। এমনকি মূল ম্যাচের আগে বিশ্রামের সময় কম থাকায় দ্বিতীয় বেসরকারি টেস্টে খেলার সম্ভাবনা কমছে ভারতের নবনির্বাচিত অধিনায়ক শুভমান গিল ও সাই সুদর্শনের। গিল ও সুদর্শন দুজনই আইপিএলে গুজরাট টাইটানসের সদস্য। তাদের দল প্লে-অফে উঠেছে। গুজরাট ফাইনাল উঠলে ৩ জুন পর্যন্ত ভারতেই অবস্থান করতে হবে গিল-সুদর্শনকে। সেক্ষেত্রে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলেই ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন তারা। আইপিএল শেষ করে ইংল্যান্ডের ভিন্ন কন্ডিশনে এবং লাল বলের ফরম্যাটে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে ভারতীয় দলকে। কারণ, এক মাসেরও বেশি সময় টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে মেতে ছিলেন তারা।
https://www.kaabait.com